জাতীয়

সিগারেট অথবা কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত

রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুন ‘নোয়াখাইল্যার ঘর’ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বস্তির অন্য বাসিন্দারা। ওই ঘরে বসবাসের পাশাপাশি চায়ের দোকানও ছিল। ওই চায়ের দোকানে প্রথম আগুন লাগে বলে মনে করছেন আশপাশের বাসিন্দারা। তাদের দাবি, বিড়ি কিংবা জ্বলন্ত সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আর কেউ কেউ বলছেন, ওই ঘরের মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। কয়েল নাকি সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত তা নিয়ে বস্তিবাসীর সন্দেহ থাকলেও তারা নিশ্চিত ওই ঘর থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।জানতে চাইলে পাশের বাড়ির মালিক মোতাহের হোসেন বলেন, আমরা রাত থেকে শুনে আসছি মসজিদের পাশের ‘নোয়াখাইল্যার’ ঘরটি থেকে আগুন ধরেছে। ওই ঘরে কেউ মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছিল। কয়েল থেকে তার মশারি হয়ে বস্তিতে আগুন লাগে। এরপর সবাই বস্তি ছেড়ে পালিয়ে যাই।খাদিজা বেগম নামে বস্তির অপর বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, ‘নোয়াখাইল্যার’ ঘর থেকে আগুন লেগেছে এটা ঠিক। তবে কিভাবে লেগেছে সেটা আমরা বলতে পারছি না। শুনেছি, চায়ের দোকানে কেউ সিগারেট খেয়ে রেখে গেছিল। সেটি থেকে আগুন ধরে বস্তি পুড়ে যায়।’আকরাম উদ্দিন নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, আগুন আগুন শব্দ শোনার পর ঘুম থেকে উঠেই দেখি ‘নোয়াখাইল্যার’ ঘর জ্বলছে। সেসময় কয়েকটি দোকানেও আগুন জ্বলছিল। আমি নিশ্চিত ওই ঘর থেকেই আগুন ধরেছে।বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে বস্তির অন্তত এক হাজারের মতো ঘর পুড়ে যায়। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।গত বছরের ৪ ডিসেম্বরও কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় প্রায় সাড়ে চারশ ঘর পুড়ে যায়। এরও আগে, একই বছরের ১৪ মার্চ ওই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে সময় পুড়েছিল অর্ধশত ঘর। প্রায় দেড়শ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে কড়াইল বস্তি। এই বিশাল বস্তিতে কয়েক লাখ মানুষ বাস করেন। প্রতিবছরই এখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এমএসএস/জেডএ/এমএআর/জেআইএম

Advertisement