তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে হাজতের দিকে নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তার অনুভুতির কথা জানতে চাইলে উচ্চস্বরে তিনি বলেন নো কমেন্টস। জামিন পাওয়ার পরও আদালতে তাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছিল। বুধবার ৫০ হাজার টাকা মুচলেখায় সানির জামিন মঞ্জুর করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম।জামিন শুনানির আগে তাকে হাজত থেকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। কাঠগড়ায় দাড়িয়ে তিনি দোয়া পড়তে থাকেন। এসময় তাকে খুবই চিন্তিত দেখায়।অপরদিকে মামলার বাদী নাসরিনকে(সানির স্ত্রী দাবিদার) দেখা যায় হাসি-খুশি।অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।সানির আইনজীবী মুরাদুজ্জামান মুরাদ ও এম জুয়েল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার না থাকায় তার মুক্তিতে বাধা নেই।জামিন শুনানিতে সানির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, উভয়ের মধ্যে আপস মীমাংসা হয়েছে এ মর্মে আপনি জামিন দিতে পারেন। তখন বিচারক নাসরিনের কাছে জানতে চান, আপনার কোনো আপত্তি আছে কিনা? নাসরিন বলেন, আমার কোনো আপত্তি নেই। পারিবারিকভাবে আমাদের দুজনে মীমাংসা হয়েছে। সে আমাকে নিয়ে সংসার করবে।বিচারক বলেন, সে তো আপনাকে নিয়ে সংসার করবে না। নাসরিন বলেন, সে বলেছে সংসার করবে এবং এ মর্মেই মীমাংসা হয়েছে।এর আগে ৯ মার্চ নারী নির্যাতন মামলায় আপসের শর্তে স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানার জিম্মায় সানির জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা। আর যৌতুকের মামলায় ৫ এপ্রিল সমনের জবাব দিতে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত।উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে সানিকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে নাসরিন নামে এক তরুণীর করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করেন ওই তরুণী।জেএ/জেএইচ/এএইচ/এমএস
Advertisement