খেলাধুলা

আইসিসি চেয়ারম্যান পদ থেকে শশাঙ্ক মনোহরের পদত্যাগ

ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসি থেকে বিগ থ্রি’র ক্ষমতা কমিয়ে আনার জন্য যে ব্যাক্তিটি সবচেয়ে বেশি কাজ করলেন, সেই শশাঙ্ক মনোহর আইসিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণ।’আইসিসিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে নিয়ে যে বিগ থ্রি ফর্মুলা তৈরি করা হয়েছিল, তার সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলেন শশাঙ্ক মনোহর। আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েই তিনি দেখলেন বিগ থ্রি ফর্মুলার মাধ্যমে এই তিনটি দেশ রাজস্ব আয়ের সিংহভাগই নিজেদের পকেটে পুরে নিচ্ছে। চরম ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে আইসিসিতে।যে কারণে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েই শশাঙ্ক মনোহর ঘোষণা দেন, আইসিসিতে বিগ থ্রি ফর্মুলা চলবে না। রাজস্ব বন্টনের ক্ষেত্রে সমতা বিধান করতে হবে। আইসিসির ক্ষমতা সম্পূর্ণ কুক্ষিগত করার যে পরিকল্পনা ভারত-অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড নিয়েছিল, সেটাকে বাতিল করে দিয়েছেন মনোহর এবং চেয়ারম্যান নির্বাচনে উন্মুক্ত পদ্ধতি প্রনয়ণ করেন। ২০১৬ সালের মে মাসে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে নির্বাচনে কোন সদস্য কিংবা অধিভুক্ত কোনো দেশের নমিনি ব্যতিত সবার সর্বসম্মতিক্রমে আইসিসির চেয়ারম্যান পূননির্বাচিত হন শশাঙ্ক মনোহর।কিন্তু স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আট মাস যেতে না যেতেই পদত্যাগ করে বসলেন শশাঙ্ক মনোহর। এর ভেতরে অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে কী না সেটা অবশ্য এখনই বোঝা যাচ্ছে না। তবে আইসিসির সংবিধান পরিবর্তনসহ আর্থিক বিষয়াধীতে যে পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছে, সেগুলো আগামী এপ্রিলে আইসিসির কার্যনির্বাহী বোর্ডের বৈঠকে সম্পূর্ণ পাশ করার কথা। তার আগেই পদত্যাগ করলেন মনোহর। অর্থ্যাৎ আইসিসিতে পরিবর্তনের প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে যে বৈঠক হচ্ছে সেখানে আর সভাপতিত্ব করতে পারছেন না তিনি। একই সঙ্গে সংবিধান ও ফাইনান্সিয়াল পরিবর্তনের যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াচ্ছে সেটাও চলে গেলো পুরোপুরি অন্ধকারে।আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন বরাবর লেখা এক চিঠিতে, যেটা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, শশাঙ্ক মনোহর বলেছেন, ‘আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি আইসিসি পরিচালনা করতে। চেষ্টা করেছি স্বচ্ছতা এবং ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক থাকার, কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ারক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি পরিহার করার।’পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যতকিছুই হোক, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে আমি আর পারছি না আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে থাকতে। এ কারণে চেয়ারম্যানের পদ থেকে আমি পদত্যাগ পত্র জমা দিলাম এবং এটা পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার পর থেকেই কার্যকরী হবে। বিদায়ের লগ্নে আমি আইসিসির সকল ডিরেক্টর, ম্যানেজমেন্ট এবং সব সাপোর্ট স্টাফ- দারুণ সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’আইএইচএস/পিআর

Advertisement