ব্যক্তিগত জীবনে অতি আধুনিক ও প্রগতিশীল হলেও ক্রিকেটারদের বড় অংশ সংস্কারবাদী। সুনীল গাভাস্কারের মত আধুনিক মনস্ক ক্রিকেটারও খেলোয়াড়ি জীবনে সংস্কার মানতেন। তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, জানেন, সবার ভালো জানা, খেলোয়াড়ি জীবনে এক অদ্ভুত সংস্কার মানতেন গাভাস্কার। প্রতি ম্যাচেই তার কোন না কোন নতুন কিছু ব্যবহার করে মাঠে নামার অভ্যাস ছিল। সেটা প্যাড, গ্লাভস, রিস্ট ব্যান্ড, টুপি, মোজা যাই হোক না কেন, একটা নতুন কিছু কিনে তা ব্যবহার করেই মাঠে নামতেন গাভাস্কার। শুধু গাভস্কারের কথা বলা কেন, ক্রিকেটারদের সিংহভাগ কোন না কোন সংস্কারে বিশ্বাস করেন। ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ ভক্ত ও সমর্থকদের বিরাট অংশও তাই। তারাও সংস্কারে বিশ্বাস করেন। মানেনও। বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকদের যে অংশ সংস্কারবাদী তারা একটা কথা চিন্তা করে শততম টেস্টে সাফল্যের আশা করতেই পারেন। ইতিহাস জানাচ্ছে প্রথম ও পঞ্চাশ টেস্ট দুটোতেই আগে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। অভিষেক টেস্টে প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের অনবদ্য শতক ও হাবিবুল বাশারের হাফ সেঞ্চুরিতে (৭২) প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করেও শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে হেরে যাওয়া। একইভাবে নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে ব্লাক ক্যাপ্সদের সঙ্গে পঞ্চাশতম টেস্টে আগে ব্যাট করে প্রথমবার ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে আবার ৯ উইকেটে পরাজয় সঙ্গী। অবশেষে শততম টেস্টে এসে প্রথম আগে বোলিংয়ে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে প্রথম মুদ্রা ভাগ্যের লড়াই জিতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রথম অধিনায়ক নাঈমুর রহমান। এরপর ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে কিউই অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথম ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। আর আজ কলম্বোর পি সারায় টস জিতে প্রথম ব্যাট বেঁছে নিলেন লঙ্কান অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ। প্রথম ও পঞ্চাশতম টেস্টে আগে ব্যাট করে জয়ের দেখা মেলেনি। কে জানে এবার প্রথম বোলিংয়ে ভাগ্য বদলাতেও পারে। এআরবি/এমআর/পিআর
Advertisement