আন্তর্জাতিক

সৌদিতে নারীদের অনুষ্ঠানে নেই নারী, মঞ্চজুড়ে পুরুষ

নারীদের জন্য জনজীবনে একটি প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। বিশেষ করে সৌদি আরবের মতো কট্টরপন্থী একটি দেশে নারীদের জন্য এ ধরনের প্লাটফর্ম তৈরি ইতিবাচকও বটে। কিন্তু ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশটিতে নারীদের জন্য একটি পরিষদ গঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সৌদি আরবে ‘নারী পরিষদ’ গঠন অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কোনো নারীকে। দেশটির আল-কাসিম প্রদেশে নারী পরিষদ গঠনের অনুষ্ঠান অায়োজন করা হয়েছিল; যেখানে নারীদের দেখা না গেলেও মঞ্চজুড়ে ছিলেন প্রদেশের গভর্নরসহ শীর্ষস্থানীয় পুরুষ কর্মকর্তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই অনুষ্ঠানের ছবিতে দেখা যায়, ‘কাসিম নারী পরিষদ’র প্রথম বৈঠকে ১৩ জন পুরুষ মঞ্চে বসে আছেন। কিন্তু নারীদের জন্য এ পরিষদ গঠন করা হলেও কোনো নারীই মঞ্চে নেই। অনুষ্ঠানে নারীরা ভিডিও কলে যোগ দেন অপর একটি রুম থেকে। শনিবারের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া পুরুষের ছবি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গর্ভপাত বিষয়ক একটি আইনে স্বাক্ষরের সময় একই চিত্র দেখা যায়। নারীদের গর্ভপাত বিষয়ক ওই আইনে স্বাক্ষরের সময় ট্রাম্পের চারদিকে পুরুষরা থাকলেও, দেখা যায়নি কোনো নারীকে। ট্রাম্পের ওই ছবির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে কাসিম নারী পরিষদের অনুষ্ঠানের ছবিকে। সৌদিতে প্রথম নারী পরিষদ গঠনের ওই অনুষ্ঠানের বিষয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন প্রদেশের গভর্নর ও যুবরাজ ফয়সাল বিন মিশাল বিন সউদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অপর যুবরাজ আবির বিন সালমানের স্ত্রী; কিন্তু তাকেও দেখা যায়নি মঞ্চে। গত কয়েক বছরে সৌদি আরবে নারী ক্ষমতায়নে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু নারী অধিকার কর্মীদের দাবি, এখনো দেশটির নারীরা পুরুষদের সমান অধিকার পাচ্ছে না। অনেক কিছুই পুরুষরা করতে পারেন, কিন্তু দেশটিতে নারীদের তা করতে দেয়া হয় না।তবে অনেকেই বলছেন, কয়েক বছর আগে যখন বিশেষ ডিক্রি দিয়ে, বাদশাহর উপদেষ্টা পরিষদ হিসেবে পরিচিত, শূরা কাউন্সিলে ৩০ জন নারীকে নিয়োগ দেয়া হয়, তখন থেকেই দেশটিতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। দেশটির সরকার ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ২২ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এসআইএস/এমএস

Advertisement