জমি কেনায় অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।আসাদুজ্জামান নামে রাবির এক শিক্ষার্থী জমি কেনায় অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন। আবেদনে রাবির ভিসি, প্রোভিসি, রেজিস্ট্রার ও ট্রেজারারকে বিবাদী করা হয়।ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় একটি দৈনিকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি কেনা নিয়ে নয়ছয়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, অতিথি নিবাস বানানোর জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি কিনেছে। দলিলে এই জমির দাম দেখানো হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটে চুক্তিপত্র অনুমোদন করানো হয়েছে ১১ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রতি কাঠা ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার কিছু বেশি দেখানো হয়েছে।এফএইচ/এমএআর/পিআর
Advertisement