দেশজুড়ে

চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-পথে ৪ লঞ্চঘাট অচল

চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-পথের ৪টি ঘাটের সামনে ও পথের বিভিন্ন স্থানে  ডুবোচর জেগে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে  লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে চারটি ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে পারছে না। ঘাটগুলো মূলত অচল হয়ে পড়েছে। ফলে যাত্রীদের ঘাটের কাছে মাঝ নদীতেই নৌকায় নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে নৌকায় করে ঘাট পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জ নৌ-পথে ১০টি ঘাটে যাত্রীরা উঠানামা করেন। ঘাটগুলোর মধ্যে রয়েছে- গজারিয়া, ষাটনল, ছটাকী, দশানী, মহোনপুর, এখলাছপুর, জহিরাবাদ, আমিরাবাজ, কানুদী ও সফরমালীঘাট। এ ১০টি ঘাটের মধ্যে চারটি ঘাটের সামনে ডুবোচর জেগে নদীর নাব্যতা সংকটে লঞ্চ ভিড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। চারটি লঞ্চঘাট হলো- ষাটনল, ছটাকী, কানুদী, সফরমালী। এসব ঘাটগুলোতে লঞ্চের যাত্রীদেরকে মাঝ নদী থেকে নৌকায় তুলে দেয়া হয়। লঞ্চ থেকে নেমে যাত্রীরা নৌকাযোগে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লঞ্চ ঘাটে এসে নামছেন। চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-পথে চলাচলকারী লঞ্চের সারেং মো. মুকবুল হোসেন জাগো নিউজকে  জানান, চাঁদপুর- নারায়ণগঞ্জ নৌ-পথে ডুবোচর পড়ে নাব্যতা সংকটে লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি অচল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চরের কারণে লঞ্চ চালাতে মারাত্মকভাবে বেগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-পথে কোনো ধরনের সিগনাল বাতি নেই। নদীর মাঝ বরাবর ছোট্ট একটি চ্যানেল দিয়ে কোনো মতে চলাচল করছে লঞ্চ । ডুবোচরে লঞ্চ আটকে গেলে বাঁশের লগির সাহায্যে পানি মেপে মেপে নদী অতিক্রম করতে হয়। এতে করে নৌ পথে যাতায়াতকারী লঞ্চ ও ট্রলারের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । মুকবুল হোসেন বলেন, জহিরাবাদ থেকে একলাসপুর সীমানার মধ্যে একটি কিলোমিটার নদী পথের পুরোটাই চর পরে গেছে। এই এক কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং করা না হলে অচিরেই এই পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় লঞ্চের পাখা ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটের লঞ্চ সুপার ভাইজার মো. রুহুল আমিন জাগো নিউজকে জানান, এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে  বলেন, বছরের তিন মাস এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। তিন মাস নদীতে পানি কম থাকায় নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চ চলাচলে একটু সমস্যা হয়। তবে এই নদীটি সরু হওয়ায় ড্রেজিং করতে হলে হাইড্রোলিক সার্ভে করে ড্রেজিং করতে হবে। অন্যথায় নদীর দুই পাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি। আরএআর/পিআর

Advertisement