আন্তর্জাতিক

সংসদের উচ্চ কক্ষে ব্রেক্সিট বিল পাস

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ব্রেক্সিট বিল পাস করেছে ব্রিটেনের সংসদ। সংসদের উচ্চ কক্ষ হাউস অফ লর্ডস আর্টিকেল-৫০ সংসদে পাশ করার পর ইইউ ছাড়তে যুক্তরাজ্যের এখন আর কোনো বাধা রইলো না। খবর বিবিসির। রয়্যাল এসেন্ট বা রানীর সম্মতি পেলে এই বিলটি শিগগিরই আইনে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করবার বিষয়টি নিয়ে সরকারের উপরে কিছুটা চাপ থাকছে। কারণ ইইউয়ের অনেক নাগরিকই এই বিল নিয়ে হতাশ। যুক্তরাজ্যে ইইউয়ের প্রায় ৩০ লাখ নাগরিক বসবাস করছে। তাদের সংগঠন দ্য থ্রি মিলিয়ন এর সহকারী চেয়ারপার্সন ফরাসী নাগরিক এনলর ডন্সকি। যুক্তরাজ্যে তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করছেন। ব্রেক্সিট বিল পাশ হবার তিনিও হতাশা প্রকাশ করেছেন।এনলর ডন্সকি বলেছেন, ‘ভোটের কথা শুনে আমার মন বিষাদে ছেয়ে গেছে। এর অর্থ হলো, আমরা যারা এখন যুক্তরাজ্যে বাস করছি, রাজনৈতিক আলোচনার টেবিলে দরকষাকষির জন্য তাদেরকেই আসলে ব্যবহার করা হবে এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের আর কিছুই বলারও থাকবে না।তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে যেসব ইইউ নাগরিক বসবাস করছেন তাদের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক।এদিকে, স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জন এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, স্কটিশদের স্বাধীনতার লক্ষ্যে দেশটিতে নতুন করে আরেকটি গণভোটের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাইবেন তিনি। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেবার প্রেক্ষিতে এই গণভোট প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।স্কটল্যান্ডের বহু মানুষ ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিল। স্টার্জন বলেছেন, স্কটিশরা যদি সত্যিই এমনটি চায় তাহলে যুক্তরাজ্য থেকে বের হওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের আগেই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, স্বাধীনতার জন্য স্কটল্যান্ডে আবারো গণভোট হলে বিভেদ সৃষ্টি হবে এবং অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরিরও আশঙ্কা রয়েছে।টিটিএন/জেআইএম

Advertisement