জাতীয়

নববর্ষে ঐক্য ও সংহতি আরও সুদৃঢ় হবে : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে ঐক্য ও সংহতি আরও সুদৃঢ় করবে এবং অফুরন্ত আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। নববর্ষের এই আনন্দঘন দিনে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪২২ বঙ্গাব্দ। শুভ নববর্ষ।’রাষ্ট্রপতি বলেন, চৈত্রের অবসানে নতুনের বার্তা নিয়ে বাঙালির জীবনে বৈশাখের আগমনী সুর বেজে উঠে। সে সুর নতুনকে বরণ করার, পুরাতনকে পেছনে ফেলে নব উদ্যমে আগামীকে আবাহন করার।তিনি বলেন, ‘বৈশাখ শুধু ঋতুচক্রমনের ধারাবাহিকতা নয় বরং আমাদের ঐতিহ্য চেতনারই নাম। বাংলা সনের উদ্ভব ও বিকাশ প্রক্রিয়া লক্ষ্য করলে আমরা দেখবো অসাম্প্রদায়িক মোগল সম্রাট আকবর ফসলি সন হিসেবে বাংলা সন গণনার সূত্রপাত করেন যা কালক্রমে বৃহত্তর বাঙালির অস্তিত্বসূচক উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলা সন গণনার সঙ্গে যেমন ফসল ও মৃত্তিকার ভাবনা জড়িত তেমনি বাংলা নববর্ষ উৎসবও মূলত তৃণমূললগ্ন এক জনউৎসবের প্রতীক।রাষ্ট্রপতি বলেন, শুধু সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও বাংলা নববর্ষ উৎসবের কোনো তুলনা নেই। সারাদেশের বৈশাখী মেলাগুলোতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পজাত পণ্যের যে বিপুল বিকিকিনি ঘটে তা জাতীয় অর্থনীতিকে বেগবান করার পাশাপাশি মানুষের মাঝে মৈত্রী, সম্প্রীতি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ-১৪২২ সবার জন্য শুভ ও কল্যাণকর হোক।বিএ/আরআইপি

Advertisement