এবার আরও এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করলেন যমুনা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ শামীম আহমেদ।তার নাম সাহিদা বেগম মেগি। বয়স ২৮ বছর। বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার ২নং রামভদ্রপুর ইউনিয়নের খড়িয়াপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম গিয়াস উদ্দিন।এর আগেও শামীম আহমেদ এই হাসপাতালে চারজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, ওই নারীদের স্বজনদের খুঁজে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তারা এখন স্বামী সংসার নিয়ে সুখেই আছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শামীম আহমেদের মানবসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ড দেখে গত বছরের ৯ অক্টোবর সাহিদা বেগমের ফুপাতো ভাই হাবিবুর রহমান বাবুল তার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করেন। এসময় তিনি তার মানসিক ভারসাম্যহীন ফুপাতো বোনের চিকিৎসার জন্য শামীম আহমেদের কাছে সহযোগিতা চান। শামীম আহমেদও বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে ওই যুবককে তার বোনকে নিয়ে ঢাকায় আসার পরামর্শ দেন। গত ১১ মার্চ শনিবার সাহিদা বেগমকে (মেগি) নিয়ে তার মা ও ফুপাতো ভাই হাবিবুর রহমান বাবুল ঢাকায় আসেন। এরপর শামীম তাদের নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যান এবং সাহিদার ভর্তির ব্যবস্থা করেন।প্রতিবারের মতো এবারও হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করেন হাসপাতালটির বেড ইনচার্জ ডা. তারিক সুমন। সাহিদাকে হাসপাতালে একটি ফ্রি-বেড পেতেও সহযোগিতা করেন তিনি। সাহিদা হাসপাতালের এক্সট্রা-৪ বেডে ভর্তি আছেন।এ ব্যাপারে যমুনা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ শামীম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তাঘাটে অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকা ঠিকানাবিহীন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের নিয়ে পরিচালিত মানবিক কার্যক্রমের সংবাদগুলো ফেসবুকে প্রচার করি এজন্য যে, অন্যরা যাতে অসহায় মানুষদের ঘৃণা না করে তাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে মানবিক কাজে অনুপ্রাণিত হয় এবং এ ধরনের মহৎ কাজে অন্যদেরও উৎসাহিত করতে এগিয়ে আসেন।এরই ধারাবাহিকতায় হাবিবুর রহমান বাবুল আমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তার ফুপাতো বোনের চিকিৎসায় সহায়তা চায়। শুনেছি দুই বছর অাগে মেয়েটার স্বামী মেয়েটাকে ছেড়ে চলে গেছে। এরপর থেকে আমি মেয়েটিকে নিয়ে অাসতে বললে বাবুল ১১ মার্চ সকালে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। এরপর আমি ভর্তির ব্যবস্থা করি।এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান বাবুল জাগো নিউজকে জানান, ৫ বছর আগে পাশের বাড়ির ফারুক মিয়ার সঙ্গে সাহিদার বিয়ে হয়। এক বছর পরই তাদের সংসারে একটি মেয়ে শিশু আসে। এক মাসেই পরেই শিশুটি মারা যায়। এরপর থেকেই সাহিদা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর কিছুদিন পরে তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এর কিছুদিন পরই সাহিদা পুরোপুরি পাগল হয়ে যায়। এভাবেই তিন বছর কেটে যায়।তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই শামীম ভাইয়ের মানবিক কাজগুলো ফেসবুকে দেখতাম। গত বছরের ৯ অক্টোবর আমার বোনের বিষয়টি শামীম ভাইকে জানাই। এরপর তিনি আমাকে তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এর মাঝে তার সঙ্গে কথাও হয়েছিল বেশ কয়েকবার। সেই পরিচয় থেকেই সাহিদা ঢাকায় নিয়ে আসি। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।এমএএস/আরআইপি
Advertisement