উলিপুর শহরে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর সংযোগ খাল বুড়ি তিস্তা নদী বাঁচাতে মানববন্ধন করেছে ৫ সহস্রাধিক মানুষ। বুকে প্ল্যাকার্ড লেখা ছিল ‘বুড়ি তিস্তা বাঁচাও উলিপুর বাঁচাও’। সোমবার দুপুরে উলিপুর প্রেসক্লাব এবং রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এ সময় শহরের প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার মানববন্ধনে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রিভারাইন পিপলস’র সিনেটর অ্যাড. এস এম আব্রাহাম লিংকন, সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন তালুকদার, উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হায়দার আলী মিঞা, মেয়র তারিক আবু আলা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু, উলিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ সরকার, সাবেক সভাপতি পরিমল মজুমদার, রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জামিউল ইসলাম, উপজেলা কমিটির সভাপতি আপন আলমগীর, উপজেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন, বাসদ সমন্বয়ক সাঈদ আকতার আমিন প্রমুখ। বক্তারা জানান, উলিপুর শহরের থেতরাই ইউনিয়নের অর্জুন গ্রাম থেকে তিস্তা নদীর একটি শাখা উলিপুর শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পূর্বে চিলমারী উপজেলার কাচকল হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়।দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার ব্যাপী এই তিস্তার শাখাকে বুড়ি তিস্তা হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। প্রায় ২০ বছর আগে অর্জুন গ্রামে ওয়াপদা বাঁধে অবস্থিত স্লুইস গেটটি ভেঙে গেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ীভাবে বাঁধ দিয়ে বুড়ি তিস্তার সংযোগ মুখ বন্ধ করে দেয়। ফলে শুকনো মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমি। দখল হয়ে যায় এই মরা নদীর দুই পাড়। ভূমি দস্যুদের হাত থেকে দখল উচ্ছেদ এবং নতুন করে স্লুইচ গেটের মাধ্যমে পানি সরবরাহের আবেদন জানায় তারা।সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নিজ নিজ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল সহকারে মানববন্ধনে যোগ দেয়। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়, ‘দাবি মোদের একটাই বুড়ি তিস্তায় পানি চাই’। এ সময় বক্তারা আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বুড়ি তিস্তা দখলমুক্ত করার দাবি জানান। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানানো হয়।নাজমুল হোসেন/এএম/পিআর
Advertisement