ছন্দজুড়ে তুইহাবীবাহ্ নাসরীনগোলাপ হাতে দাঁড়িয়েছিলি, সকাল দুপুর প্রেমভিখারীসব ভুলে যাই, কাঙাল ছেলে, তোর কথা কি ভুলতে পারিতোর ওই চোখে আগুন ছিল একটা হৃদয় পুড়িয়ে দেয়ারআমার তখন দেমাগ ছিল একশ গোলাপ উড়িয়ে দেয়ার!দুই বেণিতে আমি তখন কিশোরী খুব, প্রেম বুঝি নাবাড়ির গেটে তোর ছায়াতে ভুল করেও সুখ খুঁজি নাসানগ্লাসে, হলুদ জামায়, তুই তো তখন বখাটে ঠিকআমার তখন দুচোখ জুড়ে ছন্দ ছোঁয়ার অন্ধ ঝিলিক।আমি তখন কাব্য লুকাই পাঠ্যবইয়ের গোপন ভাঁজেআমার তখন কী এসে যায়, সকাল দুপুর তোর অকাজে!একটি বিকেল নিঃস্ব করে তুই তো রোজই দাঁড়িয়ে থাকিসআমার বাড়ির বেলকোনিতে আড়চোখে ঠিক দৃষ্টি রাখিস।আমি তখন বেড়াতে যাই খালার বাড়ি, বালুর মাঠেতখন আমি ক্ষণ গুনি নি, কী করে তোর সময় কাটে!তখন তোকে তুই মনে হয়, তোর মতনই একটা কিছুভাবনাজুড়ে কাব্য আমার, আর কিছু নেই সামনে-পিছু।ভুবনজুড়ে তখন আমার গান-কবিতার রঙের ঝিলিকভুলেই গেছি কখন কোথায় গোলাপ হাতে দাঁড়িয়েছিলি।এখনও রোজ ছন্দ মেলাই হৃদয়ভরা দ্বন্দ্ব নিয়েছন্দজুড়ে তুই রয়েছিস একশ গোলাপগন্ধ নিয়েগোলাপগুলো স্মৃতির ছাঁচে যতন করে আটকে রাখিসকাব্যজুড়েই আমার আবাস, জানি না তুই কোথায় আছিস!এইচএন/পিআর
Advertisement