২০০০ সাল থেকে ২০১৭। এই ১৭ বছরে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ৯৯টা। সামনে অপেক্ষা করছে কাঙ্ক্ষিত ১০০তম টেস্ট। এক অনন্য মাইলফলক টেস্ট ক্রিকেটের কনিষ্ঠ সদস্য বাংলাদেশের জন্য। তাই এই টেস্ট নিয়ে রীতিমত তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। আর এ টেস্টকে দারুণ কিছু দিয়েই স্মরণীয় করে রাখতে চান টাইগাররা। এমনকি স্মরণীয় করে রাখতে চান বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও।সোমবার পিসারা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে আসে বাংলাদেশ দল। অনুশীলন শেষে ওয়ালশ বলেন, ‘শততম টেস্ট বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্মরণীয় একটা ঘটনা, বড় অর্জন। একটা উৎসব মুখর পরিবেশ। সবচেয়ে বড় কথা এটা একটা মাইলফলক। এই টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখার চিন্তা আমাদের মাথায়ও আছে। সে কারণেই আগে আমরা চেষ্টা করছি কন্ডিশনের সঙ্গে উপযোগী একাদশ সাজাতে। আমরা চেষ্টা করবো। পি সারা স্টেডিয়ামের উইকেটের সঙ্গে মিল টিম কম্বিনেশন গড়তে।’প্রথম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় হার মানতে হয়েছে টাইগারদের। তবে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি দলের বোলাররাও ছিলেন নিষ্প্রভ। অভিজ্ঞতার কারণেই এটা হয়েছে বলে মনে করেন পেস বোলিং কোচ ওয়ালশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের পেসারদের প্রায় সবাই তরুণ ও অনভিজ্ঞ। এর বাইরে তাদের আরও একটা সমস্যা আছে। তারা ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘ সময় লম্বা স্পেলে ভালো জায়গায় বল করতে পারে না। এর কারণ অভিজ্ঞতায় ঘাটতি। যত বেশি খেলবে তত অভিজ্ঞতা বাড়বে। আর অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে তত এ ঘাটতি কেটে যাবে।’গলের মত কলম্বোতেও অনেক গরম। পাঁচ মিনিট খোলা আকাশে দাঁড়িয়ে থাকলে ঘেমে শরীর নেয়ে উঠে। তার মধ্যে মধ্যে পেসারদের ভালো করা কঠিন। এ সম্পর্কে পেস বোলিং কোচের মত, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই হবে। যত গরমই পরুক না কেন এর সঙ্গে মানাতে হবে। তবে আমার ধারণা গলে প্রচণ্ড গরমে পাঁচ দিন খেলার পর কিছুটা ধাতস্থ হয়ে গেছে পেসাররা। গরমে খুব একটা অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।’উল্লেখ্য, বুধবার কলম্বোর পিসারা স্টেডিয়ামে শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে মরীয়া টাইগাররা। প্রথম টেস্টে হারার পর দলে আসছে কিছু রদবদল। ইতোমধ্যেই এই টেস্ট খেলতে দলে যোগ দিয়েছেন গত দুই বছরে সাদা জার্সিতে সেরা পারফরমার ইমরুল কায়েস। আরটি/এআরএস/জেআইএম
Advertisement