ইসরায়েলের সাত স্কুলছাত্রীকে গুলি করে হত্যার দায়ে নিজ দেশে ২০ বছর সাজাভোগ শেষে জর্ডানের সেনাসদস্য আহমেদ দাকামশেহকে মুক্তি দিয়েছে দেশটি। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।গত রোরবার মুক্তি পান দাকামশেহ। পরে উত্তর জর্ডানের গ্রামের বাড়িতে ফিরলে উঞ্চ অভ্যর্থনা পান তিনি। তবে সাত স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই।দাকামশেহর মুক্তিতে ব্যাপক খুশি তার সমর্থকরা, যারা তাকে নিয়ে এরইমধ্যে একটি পোস্টার বের করেছে। এতে লেখা, ‘স্বাগত হিরো দাকামশেহ’।এদিকে, দাকামশেহর মুক্তির খবরে একশ্রেণির জনতার মধ্যে উল্লাস বিরাজ করছে। তাদেরই একজন দেশটির অন্যতম পার্লামেন্ট সদস্য সালেহ আরমৌতি। তিনি বলেন, এ হিরোর মুক্তি আমাদের আনন্দ দিয়েছে। ইসরায়েল অসংখ্য জর্ডানিয়ানদের প্রতি অন্যায় করে আসছে, যার কোনো হিসাব নেই।১৯৯৭ সালের মার্চে জর্দান-ইসরায়েল সীমান্তে একদল শিশুকে লক্ষ্য করে গুলি চালান দাকামশেহ। এতে সাত স্কুলশিশু নিহত ও সাতজন আহত হয়। এদের মধ্যে একজন শিক্ষক ছিলেন।ওই ঘটনার পর জর্ডানের একটি সামরিক আদালত দাকামশেহকে মানসিক ভারসাম্যহীন সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। কয়েকদিন আগে জর্ডান ঘোষণা দেয়, সাজার মেয়াদ শেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন দাকামশেহ। জর্ডানের আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজার দেয়াদ ২০ বছর।ওই ঘটনার পর জর্ডানের তৎকালীন রাজা হুসেইন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানান ও পরে ইসরায়েল সফরে গিয়ে নিহতদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়া আম্মান নিহতদের পবিরারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়।এদিকে, ওই হত্যাকাণ্ডের শিকার ১৩ বছর বয়সী ছাত্রী সিভানের বাবা ইসরাইল ফাতিহি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এটাই বাস্তবতা।অপরদিকে, জর্ডানের নিরাপত্তাবাহিনী দাকামশেহর গ্রামের প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে, যাতে কোনো সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ না করতে পারে।সূত্র: আল-জাজিরাএসআর/জেআইএম
Advertisement