রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী নাগরিকদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উঠেছে মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীরের বিরুদ্ধে।উর্দু ভাষীদের সংগঠন ‘নন লোকাল রিলিফ কমিটি’ নামের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান এস কে গোলাম জিলানী এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ তুলেছেন।তবে অভিযোগের ব্যাপারে ওসি বলছেন, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগেই জিলানীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সপরিবারে তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িত। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এস কে গোলাম জিলানী বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ৪ মাস ধরে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের উর্দুভাষী নাগরিকদের অহেতুক হয়রানি করছে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীরের নির্দেশেই হয়রানি করা হচ্ছে। অহেতুক উর্দুভাষীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় আমাকেসহ সংগঠনের দফতর সম্পাদক মো.শামসাদ শাকিলকেও গ্রেফতার না করে ৩৭ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হয়।গোলাম জিলানী বলেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি ওসি আমাকে ফোন করে থানায় ডেকে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন। শাকিলসহ থানায় যাই। এসআই সুজানুর রহমান ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসিয়ে রাখেন। ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক ফিরোজ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। পরে কেন এমন করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আপনাকে লকআপে আটকে রাখতে উপরের নির্দেশ রয়েছে। এভাবে টানা ৩৭ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ১৮ জানুয়ারি কোর্টে পাঠায়।’সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে তারা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ও পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হককে অনুরোধ করেছেন। আর এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জাগো নিউজকে জানান, তেঁজগাও বিভাগের ডিসি বিপ্লব সরকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে জেনেভা ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকায় জিলানীকে গ্রেফতার করা হয়।ওসি বলেন, সপরিবারে তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার দুই ছেলেও মাদক ব্যবসায় জড়িত। মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।জেইউ/জেডএ/পিআর
Advertisement