বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে প্রথমবারের মতো দু’টি সাবমেরিন যুক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সাবমেরিন যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। আর এর মাধ্যমেই ত্রিমাত্রিক শক্তিতে রূপ নিলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার চট্টগ্রামে নৌঘাঁটি ইশা খাঁয় ‘বানৌজা নবযাত্রা’ ও ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ নামের সাবমেরিন দুটির কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন। সাবমেরিন দুটি গত ২২ ডিসেম্বর চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। এর আগে, ১৪ নভেম্বর সাবমেরিনগুলো বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। চীনের লিওনিং প্রদেশের দালিয়ান সিটি শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন আহমেদের কাছে চীন সরকারের পক্ষে সাবমেরিনগুলো হস্তান্তর করেন রিয়ার অ্যাডমিরাল লিউ জিঝু।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার ‘নবযাত্রা’র অধিনায়ক কমান্ডার কে এম মামুনুর রশিদ এবং ‘জয়যাত্রা’র অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাজহারুল ইসলামের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেয়ার পর ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা অর্জনের পরিচিতিমূলক মহড়া দেয় বানৌজা বঙ্গবন্ধু, নেভাল এভিয়েশনের দু’টি হেলিকপ্টার, দু’টি এমপিএ ও একদল দক্ষ কমান্ডো। প্রধানমন্ত্রী এরপর ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’ কার্যত বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো। আর গুটিকয় সাবমেরিন পরিচালনাকারী দেশের তালিকায় যোগ হলো বাংলাদেশের নাম।চীনের ০৩৫ জি টাইপ দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তির ফলে বিশাল জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়লো। পাশাপাশি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ব্লকগুলোতে নিরাপত্তাসহ সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাবমেরিন দু’টির সহায়ক ভূমিকা পালনের সুযোগ তৈরি হলো।সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে অবতরণ করে।বিকেল সাড়ে ৩টায় পতেঙ্গায় বোট ক্লাবে ওয়াসার নতুন একটি পানি শোধন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বোট ক্লাব থেকে আবারও ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে ফিরে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে উড়বেন তিনি।এমএআর/এফএ/পিআর
Advertisement