বিভিন্ন দেশের পুলিশপ্রধানদের নিয়ে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকায় শুরু হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁওতে ‘চিফস অব পুলিশ সম্মেলন’ উদ্বোধন করেন।জঙ্গিবাদ , সন্ত্রাস এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে দক্ষিণ এশিয়া ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের পুলিশ প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। তবে বাংলাদেশে কিছু হোম গ্রোন জঙ্গি রয়েছে যারা বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। তবে বাংলাদেশ পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিট সাফল্যের সঙ্গে তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। হোলি আর্টিসান থেকে অনেক হোস্টেজকে তারা মুক্ত করেছে।’এই কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সাউথ এশিয়ান ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তথ্য ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান ঘটবে যা ভবিষ্যতে এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগবে। ১৪ দেশের পুলিশ প্রধান ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অাটটি ইস্যুতে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে এ সম্মেলনে। পুলিশ প্রধানরা ছাড়াও উপস্থিত হয়েছেন ইন্টারপোল, এফবিআই ও ফেসবুকের প্রতিনিধিরা।এই সম্মেলনের আলোচনায় মূলত জঙ্গিবাদ দমন, মানবপাচার, অর্থনৈতিক অপরাধ, সন্ত্রাসী অর্থায়ন, মাদকদ্রব্য পাচার রোধ, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ, গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদান ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে।সম্মেলন শেষে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ প্রতিরোধের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষর করা হবে।সংক্ষেপে চিফ অব পুলিশ কনফারেন্স হলেও একে ‘চিফ অব পুলিশ কনফারেন্স অব সাউথ এশিয়া অ্যান্ড নেইবারিং কান্ট্রিস অন রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন কার্ভিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম` নামে নামকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রথম এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম। এছাড়াও উপস্থিত হয়েছেন ইন্টারপোল, ফেসবুক, আইজিসিআই, এফবিআই, আসিয়ানাপোল ও আইসিআইটিএপি’র প্রতিনিধিরা।এআর/জেডএ/এমএস
Advertisement