আন্তর্জাতিক

গণভোটের প্রচারণার জের ধরে নেদারল্যান্ডস-তুরস্কের তিক্ততা

নেদারল্যান্ডসে বসবাসকারী তুর্কিদের উদ্দেশে তুরস্কের মন্ত্রীদের গণভোটের প্রচারণা চালাতে না দেয়ায় দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। তুরস্কের এক মন্ত্রীকে রটেরডামের একটি দূতাবাসে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। প্রতিবাদে তুর্কি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে শত শত তুর্কি। পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে নিরাপত্তার কারণে আঙ্কারা আর ইস্তানবুলে ডাচ দূতাবাসে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির। শনিবার তুরস্কের পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী ফাতমা বেতুল সাইয়ান কায়াকে রটেরডামে তুরস্কের দূতাবাসে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এর আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী একটি বিমানকে নামতে দেয়নি ডাচ কর্তৃপক্ষ।তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরো বাড়াতে সামনের মাসে সংবিধান সংশোধনের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ওই প্রস্তাবের পক্ষে ইউরোপে এখন প্রচারণা চালাচ্ছেন তুর্কী মন্ত্রীরা। তারই অংশ হিসাবে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাসে যেতে চেয়েছিলেন তুরস্কের পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী।এর আগে একই ধরণের সমাবেশ নিষিদ্ধ করে অস্ট্রিয়া, জার্মানি আর সুইজারল্যান্ড। এই ঘটনার পর তুরস্কের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের তিক্ততা শুরু হয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে কয়েকশ তুর্কি রটেরডামে তুর্কি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে।অন্যদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আঙ্কারা আর ইস্তাম্বুলে ডাচ দূতাবাসে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।ডাচদের নাৎসি এবং উগ্রবাদী বলে মন্তব্য করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি হুমকি দিয়েছেন যে, পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে তুরস্কে ডাচ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। এর জবাবে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেছেন, এরদোয়ানের মন্তব্য শিষ্টাচারের বাইরে।এ ধরণের হুমকির ফলে দুই দেশের মধ্যে সমস্যার সমাধান বরং অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে সরকারি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে। টিটিএন/এমএস

Advertisement