জাতীয়

নববর্ষকে ঘিরে ব্যস্ত পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা

পুরানো  ঢাকার  ব্যবসায়ীদের  কাছে  নববর্ষ  মানেই  যেন  হালখাতা  উৎসব। ক্রেতা  ও  বিক্রেতাদের  মধ্যে  সৌহার্দ্যপূর্ণ  এ  আয়োজনকে  ঘিরে  এখন  চলছে  শেষ  মুহূর্তের  প্রস্তুতি। ধুয়ে-মুছে  পরিপাটি  করা  হচ্ছে  বেশিরভাগ  দোকান। আবার  কেউ  পরিষ্কার  পরিচ্ছন্নতার  বিষয়টি  সেরে  ফেলেছেন  আগেভাগেই। এখন  কেবল  পহেলা  বৈশাখে  নতুন  হিসেবের  পাতা  খোলার  অপেক্ষা। হালখাতা  উৎসবকে  ঘিরে  তারা  জানালেন  নানা  আয়োজনের  কথা।প্রতিবারের মত এবারেও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে দেনা-পাওনার হিসেব সমন্বয়ে হালখাতা খুলছেন পুরানো ঢাকার ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি চলছে নতুন করে দোকান সাজানো আর ক্রেতাদের নিমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কাজও। পুরানো বছরের দেনা-পাওনার হিসেব হালনাগাদের এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ক্রেতার জন্য নানান আয়োজন রেখেছেন রাজধানীর অভিজাত শপিংমলের ব্যবসায়ীরাও।বিক্রেতারা বলেন, `আমাদের মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ৯টায়, ক্রেতাদের আমরা মিষ্টি-কোমল পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন করবো। এটা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। এ দিনে আমরা প্রার্থনা করি ব্যবসা-বাণিজ্য যেন ভালো হয়।`আবহমান বাংলার এ ঐতিহ্যের ছোঁয়া লেগেছে রাজধানীর অভিজাত শপিং মলগুলোতেও। নিয়মিত ক্রেতাদের জন্য তারাও রেখেছেন হালখাতা উৎসবের আমন্ত্রণপত্র ও আপ্যায়নের নানা আয়োজন।সেখানকার একজন বিক্রেতা বলেন, `আমরা এবার ৮০০ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, এটা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত। ক্রেতাদের জন্য আমরা আপ্যায়ন করবো।`এদিকে, যে খাতাকে ঘিরে এই জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব। তার বিক্রিও কিন্তু কম নয়। গতবার এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গড়ে ৩০ হাজার টাকার খাতা বিক্রি হলেও এবারে আরো বেশি বিক্রির প্রত্যাশা খাতা বিক্রেতাদের।তাদের একজন বলেন, `গতবছর ত্রিশ হাজার টাকার খাতা বিক্রি করেছিলাম, এবার আরও ১০-১৫ হাজার টাকা বেশি বিক্রি করার আশা করছি।`ক্রেতা-বিক্রেতাদের পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়নে এ উৎসব প্রতি বছরই নতুন মাত্রা যোগ করে বলেও জানালেন ব্যবসায়ীরা।এআরএস/এমএস

Advertisement