মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ২৫ মার্চ রাতে এবং যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার সচিত্র প্রতিবেদন দেখার সময় বার বার চোখ মুছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। ১৮ মিনিট চলা এসব চিত্র দেখে সংসদ সদস্যরা নীরব হয়ে যান। শনিবার জাতীয় সংসদে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদের বৈঠকে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ফেনী-১ আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এমপি শিরিন আখতার। এরপর ফ্লোর নিয়ে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২৫ মার্চই শুধু নয়। এর পথ ধরেই দেশে যে গণহত্যা শুরু হয়েছিল... অনেক সংসদ সদস্য আছেন এখানে যারা যুবক, একাত্তরের সেই ভয়াল চিত্র তারা দেখেননি। এখানে আলোচনা হবে। মাননীয় স্পিকার আপনার অনুমতি নিয়ে আমি ওই সময়কার কিছু ছবি-ভিডিও দেখাতে চাই, যেগুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। সংসদ কক্ষে রাখা বড় পর্দায় একাত্তরে পাক বাহিনীর নির্মমতার বিভিন্ন চিত্র, ভিডিও দেখানো হয়। শরণার্থীদের দেশ ত্যাগ, গণহত্যার ছবি দেখানো হয়।সচিত্র প্রতিবেদনের শুরুতে ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি দেখানো হয়। প্রতিবেদনে ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটিও দেখানো হয়।ওই সব স্থিরচিত্র ও ভিডিও দেখানোর পর প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হয়। এইচএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement