খেলাধুলা

‘সাম্প্রতিক সময়ে এত বাজে ব্যাটিং করিনি’

নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ থেকে শুরু- ওয়েলিংটন এবং ক্রাইস্টচার্চে দুই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করাটা ছিল যেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের জন্য বিশাল এক পরীক্ষা। এরপর হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ছিল যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য এক বিভীষিকার নাম; কিন্তু আগের সব বিভীষিকাকেই যেন এবার ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিকরা। গল টেস্টে লঙ্কান স্পিনারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করে, বাংলাদেশ হেরে গেলো ২৫৯ রানে।নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৫৯৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬০ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ফলে অবধারিতভাবেই হারতে হলো মুশফিকদের। তবুও স্বান্তনা ছিল প্রথম ইনিংসের অসাধারণ ব্যাটিং। ক্রাইস্টচার্চেও ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল। তবে, কিউই পেসারদের সামনে সেই ব্যর্থতাকে অনেকটাই মেনে নেয়া গিয়েছিল। কারণ, কিউইদের সামনে বিশ্বের সেরা সেরা ব্যাটিং লাইনআপও খাবি খায়।ভারতের হায়দরাবাদে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মোটামুটি ভালো ব্যাটিং করেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিভীষিকা থাকলেও, বাংলাদেশ টেস্টকে ৫ম দিন শেষ বিকেল পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেছিল। কিন্তু গলে স্বাগতিক শ্রীলংকা কিন্তু আহামরি কোনো শক্তিশালী দল নয়। তাদের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশাই করেছিল অনেকে। জয় না হোক, অন্তত ড্র তো প্রত্যাশাই ছিল। অথচ সেখানে প্রথম ইনিংসেও খুব একটা আহামরি ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে এমন দারুণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আগের দিনের ৬৭ রান বাদ দিলে আজ ১৩০ রানেই হারিয়েছে সবগুলো উইকেট। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম নিজেও স্বীকার করলেন, এতটা বাজে ব্যাটিং সাম্প্রতিক সময়ে করেনি বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন মুশফিক। গল টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই সহজ স্বীকারোক্তি জানালেন টিম বাংলাদেশের অধিনায়ক।নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্ট এবং হায়দারাবাদে ভারতের বিপক্ষে টেস্টসহ সর্বশেষ ৬ ইনিংসে আমরা এত বাজে ব্যাটিং করিনি।’তাহলে কোথায় সমস্যা ছিল ব্যাটসম্যানদের? মুশফিক বলেন, ‘আমার পরিষ্কার মনে হয়, ব্যাটসম্যানদের অ্যাপ্রোচ এবং অ্যাপ্লিকেশন মোটেই সঠিক ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম সকালের সেশনে, বিশেষ করে প্রথম ঘণ্টায় সতর্ক ও সাবধানে থেকে কম উইকেট হারাতে; কিন্তু হয়েছে তার উল্টোটা।’মুশফিক মনে করেন দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই হেরে বসেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘প্রথম ঘণ্টায় ৪৬ রানে আমরা হারিয়েছি পাঁচ প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানকে। কার্যত সেখানেই আমাদের সম্ভাবনার অপমৃত্যু ঘটেছে। তারপর ম্যাচ বাঁচানো ছিল খুব কঠিন।’এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement