টেস্ট ড্র করাটা ছিল খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। সারা দিনে হয়তো ৯৮ ওভার খেলতে হতো বাংলাদেশকে; কিন্তু ১০ উইকেট তো পুরোই হাতে ছিল। সঙ্গে ছিল বৃষ্টির চোখ রাঙানি। খেলাটা দিনের তৃতীয় সেশন পর্যন্ত টেনে নিতে পারলে হয়তো বৃষ্টিই ম্যাচটা বাঁচিয়ে দিতে পারতো বাংলাদেশকে; কিন্তু লঙ্কান স্পিনারদের ঘূর্ণির সামনে ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পন, পরাজয়ের দিকেই নিয়ে গেলো বাংলাদেশকে। সারা দিনে যেখানে ৯৮ ওভার খেলতে হতো, সেখানে মুশফিকরা খেলেছে মাত্র ৪৫ ওভারও। অর্ধেক পথও পাড়ি দিতে পারলো না। রঙ্গনা হেরাথের ঘূর্ণিতে একের পর এক খেই হারিয়েছে। আগেরদিন ৬৭ রানের জুটি গড়ে যেখানে সৌম্য আর তামিম আশার আলো জালিয়ে দিয়েছিলেন, সেখানেই দপ করে সেই আলো নিবিয়ে দিলেন সৌম্য। দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেট বিলিয়েছেন লঙ্কান বোলারদের সামনে। বাকিটা ইতিহাস। সারা দিনে ১৩০ রান তুলতেই (আগেরদিনের ৬৭ রান বাদে) অলআউট বাংলাদেশ। ফল, ২৫৯ রানে পরাজয়।ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাই স্বীকার করলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। বললেন, ‘ম্যাচ বাঁচানোর জন্য যেভাবে ব্যাটিং করার প্রয়োজন ছিল, যেভাবে আমরা ব্যাট করতে চেয়েছি, সেভাবে পারিনি। হয়েছে তার উল্টোটা।’গল টেস্টের পঞ্চম দিনে লঙ্কান স্পিনাররা কী খুব বেশি টার্ন পেয়েছিল? মুশফিক তেমন মনে করেন না। আবার ৯৮ ওভার টিকে থাকও অসম্ভব ছিল না বলে মনে করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়কের মন্তব্য, ‘সারাদিনে ৯৮ ওভার টিকে থাকা একদম অসম্ভব কাজ ছিল না। পঞ্চম দিনের উইকেট। তারপরও বল তেমন টার্ন করেনি।’তবে স্বাগতিক স্পিনাররা যে ভালো বল করেছেন, সেটা স্বীকার করেছেন মুশফিক। বললেন ‘লঙ্কান স্পিনাররা অবশ্য ভালো বল করেছেন। কিছু ভালো ডেলিভারির মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের; কিন্তু সেগুলো কোনো বড় ভুমিকা রাখেনি। আসল কথা হলো, ম্যাচ বাঁচানোর জন্য যে ব্যাটিংটা করা দরকার। তেমন ব্যাটিং আমরা করতেই পারিনি।’এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement