জাতীয়

জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন পাঠানোর উদ্যোগ

প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে আবারো বাংলাদেশ থেকে শিক্ষানবিশ (টেকনিক্যাল ইন্টার্ন) নিতে যাচ্ছে জাপান সরকার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ১২ মার্চ সকাল ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- আইএম জাপান এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিদের মধ্যে এ সংক্রান্ত স্মারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ থেকে এতদিন তিন বছর মেয়াদে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নেয়ার বিধান থাকলেও দেশটি এখন থেকে নেবে পাঁচ বছর মেয়াদে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী শিল্পের জন্য জাপান বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন (কারিগরি প্রশিক্ষণার্থী) পদে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেবে। বিশেষ করে ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিক গেমসকে সামনে রেখে জাপানে প্রচুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এসব কাজে বাংলাদেশের জনশক্তি ব্যবহার করা হবে।  নতুন এই চুক্তিতে কন্সট্রাকশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন হিসেবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কারিগরি প্রশিক্ষণার্থীরা তিন বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর জাপানে থাকবেন।  প্রশিক্ষণার্থীরা ম্যানেজার, সুপারভাইজার পদেও কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রশিক্ষণকালীন তাদের উচ্চ সম্মানী দেওয়া হবে। সেই সাথে দেশে ফিরে আসার সময় এককালীন কিছু পুঁজিও দেওয়া হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘জাগো নিউজ’কে বলেন, ‘বাংলাদেশ জাপানের দীর্ঘ পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জাপান সহায়তা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ থেকে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নেওয়ার মাধ্যমে উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। জাপান সরকার টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ খরচ বাদে সব খরচই বহন করবে।’ প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে জাপানের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন পদে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার ব্যাপারে ‘জাপান ইন্টারন্যাশনাল টেকনিক্যাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’- জিটকো`র মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। ওই সময় জিটকো’র দুই প্রতিনিধি ঢাকায় এসে একটি চুক্তিও করেন। গার্মেন্টসের ২৪ নারীকর্মী সেসময় জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন হিসেবে যাওয়ার সুযোগ পান। পরে বেশকিছু চাহিদাপত্র এলেও অনিয়মের অজুহাতে জাপান দূতাবাস ভিসা প্রদান বন্ধ রাখে। আরএম/এমএআর/পিআর

Advertisement