বয়স মাত্র ৪২ বছর; এ বয়সেও কম যান না মিসবাহ-উল-হক! ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারেন। বাঘা বাঘা বোলারকে শাসন করতে কোনো ভয় নেই তার। তা আরও একবার প্রমাণ করলেন ‘বুড়ো’ মিসবাহ। হংকং টি-টোয়েন্টি ব্লিটজে হাং হোম জাগুয়ার্সের বিপক্ষে টানা ছয়টি ছক্কা হাঁকালেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার।হংকং লিগে মিসবাহ খেলছেন হংকং আইল্যান্ড ইউনাইটেডের হয়ে। দলটির অধিনায়কও তিনি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আইল্যান্ড ইউনাইটেড। শুরুটা ভালো হয়নি। তবে মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় তারা।বিশেষ করে, মিসবাহর বীরোচিত ব্যাটিংয়ে। চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নামেন। চতুর্থ উইকেটে মুনির দারের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়েন আইল্যান্ড ইউনাইটেড। এই জুটিই সর্বোচ্চ। একপ্রান্ত আগলে রাখেন মিসবাহ। আইল্যান্ড ইউনাইটেডের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটলে ক্রিজে আসেন সাঈদ আজমল। সপ্তম উইকেটে আজমলকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৯* রানের জুটি গড়েন মিসবাহ। আর এ সময়ই অনন্য এক কীর্তি গড়েন দলীয় অধিনায়ক। টানা ছয়টি ছক্কা হাঁকান। অবশ্য এক ওভারে নয়। তবে নিজের মোকাবেলা করা টানা ৬ বলে ছক্কা আসে মিসবাহর ব্যাট থেকে।হাং হোম জাগুয়ার্সের বোলার ইমরান আরিফের করা ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে (পঞ্চম ও ষষ্ঠ) ছক্কা হাঁকান মিসবাহ। পরের ওভার অর্থাৎ ২০তম ওভারে অ্যাশলে ক্যাডির প্রথম বলটি মোকাবেলা করেন সাঈদ আজমল। এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তিনি। স্ট্রাইকিং প্রান্তে আসেন মিসবাহ। এর পরের চার বলে (২০তম ওভারের ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম) ছক্কা মারেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক।শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে চারটি চার ও সাতটি ছক্কায় ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন মিসবাহ। তার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৬ রান তোলে আইল্যান্ড ইউনাইটেড। জবাবে হাং হোম জাগুয়ার্সের ইনিংস থামে ১৮৩ রানে। আর তাতে ৩৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিসবাহর দল আইল্যান্ড ইউনাইটেড।আন্তর্জাতিক ম্যাচে আরও কয়েক বছর পাকিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন, সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন মিসবাহ। বয়স কোনো বাধা নয়, বরং ইচ্ছাটাই বড়। বয়সে বুড়িয়ে গেলেও তারুণ্যের মানসিকতা তাকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে!এনইউ/পিআর
Advertisement