খেলাধুলা

অবশেষে বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা

গলের আকাশে মেঘ। ছেয়ে গিয়েছিল চা বিরতির আধ ঘণ্টা আগেই। যে কোনো মুহূর্তে বৃষ্টি আসতে পারে- এই ভেবে চা বিরতির ঠিক এক ওভার আগেই খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আম্পায়াররা। শুরুতে পশ্চিম আকাশ পুরো কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। পূর্ব আর উত্তরের আকাশেও মেঘের ঘনঘটা। শুধু দক্ষিণ দিকটাই ছিল মেঘমুক্ত। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে সেখানেও মেঘের আনাগোনা। মেঘে ঢাকা গলে বৃষ্টি শুরুর আগেই আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করে দিলেন। চা বিরতির ঠিক এক ওভার আগেই মাঠ কর্মীরা কভার নিয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে গেলেন মাঠে। তবে মজার বিষয় হলো, আউট ফিল্ড ঢাকা পড়লেও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ১২ মিনিট পর্যন্ত উইকেটের ওপরে কভার দেয়া হয়নি। কভার হাতে মাঠ কর্মীরা দাঁড়ানো। কারণ তখনও যে বৃষ্টি শুরু হয়নি। ভারত মহাসাগরের পাশে গল স্টেডিয়াম। এখানে পাসিং শাওয়ার বা ঝিরঝিরে বৃষ্টিই বেশি হয়। এই ভেবে আগে ভাগে চা বিরতি দিয়ে দেয়া। তারপর এক সময় খেলা শুরু। মাত্র দুই বলের মধ্যে পতন ঘটল বাংলাদেশের শেষ উইকেটের। তারপর মাঠের কভার সরিয়ে নেয়া হলো। এক ইনিংস শেষে আরেক ইনিংস শুরুর আগে যে ১০ মিনিটের ব্রেক, তাতে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা খানিক ক্যাচিং ও ফিল্ডিং প্র্যাকটিসও করে নিলেন। আম্পায়ারা মাঠে নামলেন। দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর লক্ষ্যে ক্রিজে চলে গেলেন দুই লঙ্কান ওপেনার উপল থারাঙ্গা আর করুনারত্নে। সবাই তৈরি। প্রথম বল হওয়ার প্রস্তুতি। ঠিক তখনই চলে আসল বৃষ্টি। মেঘে ঢাকা গলের আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরছে অনবরত। তবে কথায় বলে না ‘যত গর্জে, তত বর্ষে না।’ ঠিক তেমনি। মেঘের তর্জন-গর্জন শুনে মনে হচ্ছিল না জানি কি ভয়ঙ্কর জোরে আসবে বৃষ্টি। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তার উল্টোটা। বৃষ্টি হচ্ছে; তবে ঝিরঝিরে। অনেকটা নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন, ক্রাইস্টচার্চে যেমন ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে তেমনি। স্থানীয় সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা কর্মীরা জানাচ্ছেন গলে এ ধরনের বৃষ্টি প্রায়ই হয়। কারণ ভারত মহাসগর একদম মাঠের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। গল শহরের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের পুরোটাই ভারত মহাসগর (এখানে মাঝে মাঝে পাসিং শাওয়ার হয়)। তবে সেটা খুব জোরে নয়। বাংলাদেশে যেটাকে টিপটিপ বৃষ্টি বলে। তবে এ বৃষ্টি কতক্ষণ থাকবে তার নিশ্চয়তা নেই। যদিও মেঘের কালো রূপ কেটেছে খানিকটা। তবে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত খেলা শুরুর কোনো সম্ভাবনা নাই। বৃষ্টির তোড় যত কমই থাকুক, বৃষ্টি বন্ধ না হলে খেলা শুরুর কোনো সম্ভাবনা নাই । তবে একটা আশার খবর আছে, তা হলো আউট ফিল্ডের পুরোটাই কভারে আচ্ছাদিত। নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা সময় বাড়ানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সময় ৫টা এবং বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় বৃষ্টি থামলেও কিছুক্ষণ খেলা হবে।এআরবি/এনইউ/পিআর

Advertisement