জাতীয়

বন্ধ দুয়ার খুলেছে : ১০২ জন মালয়েশিয়া যাচ্ছেন কাল

নতুন করে আবারও মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি শুরু হচ্ছে। প্রথম গ্রুপে ১০২ জন আগামীকাল (শুক্রবার) মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। তারা সবাই ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় যাবার সুযোগ পেয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে এবারই প্রথম মালয়েশিয়ায় ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে শ্রমিক রফতানি হচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ১২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক বৈধভাবে দেশটিতে যান। তবে তখনকার প্রক্রিয়া `জিটুজি প্লাস` ছিল না। শুক্রবার যে ১০২ জন মালয়েশিয়া যাচ্ছেন তারা সবাই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) ‘কার্গো লোডার’পদে নিয়োগ পেয়েছেন। চলতি মাসে পর্যায়ক্রমে আরও ৩০০ কর্মীর যাওয়ার কথা রয়েছে দেশটিতে।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির প্রথম ফ্লাইটটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পর দীর্ঘ  সময় এই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে প্লান্টেশন, ফ্যাক্টরি ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য কর্মী পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের প্রথম গ্রুপটি পাঠানোর সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় বিএমইটি টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) তাদের ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এতে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা থেকে শুরু করে মালয়েশিয়ায় নতুন কর্মস্থল সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা দেয়া হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ মার্চ রাত ৯টা ৩০ মিনিটে বিজি-০৮৬ ফ্লাইটে করে তাদের মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১০ মার্চ প্রথম গ্রুপে যাওয়া প্রত্যেক কর্মী মাসে ১ হাজার ৫০০ মালয়েশীয় রিংগিত (বাংলাদেশিপ্রায় ২৭ হাজার টাকা) বেতন পাবেন।এ প্রসঙ্গে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা আকাশচুম্বী। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।আরএম/এমএমজেড/আরআইপি

Advertisement