কুমিল্লায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শহর ছাত্রলীগ সভাপতি ও কুমিল্লা সার্ভে ইনস্টিটিউটের ভিপি সাইফুল ইসলাম মারা গেছেন। রোববার সকাল সোয়া ৯টায় নগরীর মুন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি ।শনিবার দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সাইফুল ইসলাম। মারাত্মক আহত অবস্থায় শনিবারই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনিসুর রহমান মিঠু সাইফুলের মৃত্যুর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সাইফুলের মৃত্যুর খবর নগরীতে ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. খোরশেদ আলম জাগো নিউজকে জানান, পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় নগরীতে অতিরিক্ত র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার কুমিল্লায় আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এএইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে সম্মেলন শেষ করে বিকাল ৫টার দিকে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় দলীয় পদ-পদবীকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের স্থানীয় এমপি আ.ক. ম বাহাউদ্দিন সমর্থিত গ্রুপ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. আফজাল খান গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে টাউন হল মাঠ ও কান্দিরপাড় এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও গ্যাসগান ছোঁড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ও নগরীর গোবিন্দপুর এলাকার এম সাইফুল ইসলামসহ উভয় গ্রুপের আরও অন্তত ১০/১২ জন আহত হন।ডাক্তাররা জানান, বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে সাইফুল ইসলামকে মুন হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাইফুল ইসলাম গোবিন্দপুর এলাকার নুরুল হুদার (কালু মিয়া) ছেলে। সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছেন। এমজেড/বিএ/এমএস
Advertisement