বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও ধংসাত্মক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচারের হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটি। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন নিয়ে শুনানিকালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান তারা।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৬ ও ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) বাস্তবায়ন বা রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার চর্চা বিষয়ে শুনানি জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির শুনানি হয়।জেনেভায় অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইসিসিপিআর অনুযায়ী প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেয়ায় বাংলাদেশকে প্রশংসা করে কমিটি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্যও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানায় কমিটি। এ সময়ে আইনমন্ত্রী আইসিসিপিআর বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) কনভেনশন সই করে বাংলাদেশ। তবে জাতিসংঘের কমিটির কাছে ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেয় বাংলাদেশ সরকার।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আইনমন্ত্রী আইসিসিপিআর বাস্তবায়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। আলোচনায় মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের প্রক্রিয়াগুলো জানতে চায় জাতিসংঘের কমিটি। এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ রোধ, বিচারবহির্ভুত হত্যা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন ও গুম, লেখক, ব্লগার, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং লেখক ও ব্লগার হত্যার তদন্তের হালনাগাদ তথ্য, শিশুশ্রম ও জোর করে কাজে বাধ্য করা বন্ধ, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, আটক রোধ, কারাগারের অবস্থা এবং মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সরকার নিয়েছে কী ব্যবস্থা তা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।পাশাপাশি ধর্মের অধিকার এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা, সংখ্যালঘু এবং তাদের উপাসনালয়ের উপর আক্রমণ নিয়েও প্রতিনিধি দলের কাছে জানতে চায় জাতিসংঘ কমিটি। এ ছাড়া মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত মুসলিম রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা নিয়েও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটি বাংলাদেশ দলের কাছে জানতে চেয়েছে।জেপি/বিএ
Advertisement