একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপররাধী জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তার ফাঁসি কার্যকরের আগে বেশ কিছু নিয়ম পালন করা হয়।নিয়ম অনুযায়ী কামারুজ্জামানকে ফাঁসির মঞ্চে তোলার আগে রাত পৌনে ৯টায় গোসল করানো হয়। ৮টা ৫০ মিনিটে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। একজন মাওলানা তাকে তওবা পড়ান। এর পর দুই রাকাত নফল নামাজ শেষবারের মতো পড়ে নেন তিনি। নামাজ শেষে তার কোনো শেষ ইচ্ছে আছে কি না, তা জেনে নেওয়া হয়।এরপর তাকে ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ফাঁসির মঞ্চে নেওয়ার পর তার মাথায় পরানো হয় একটি কালো টুপি। এ টুপিকে বলা হয় ‘যমটুপি।’ফাঁসির মঞ্চে তোলার পর কামারুজ্জামানের দুই হাত পেছন দিকে বাঁধা হয়। এ সময় ফাঁসির মঞ্চের সামনে উপস্থিত ছিলেন কারা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন ও একজন ম্যাজিস্ট্রেট। ম্যাজিস্ট্রেট একটি লাল রুমাল হাত থেকে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করেন।মোট ২২ মিনিট লাশ ঝুলে থাকে। তারপরে সিভিল সার্জন সহ ৩ জন জল্লাদ গিয়ে লাশ নামিয়ে সেখানে হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করার পরে, বাইরে মওলানা গোসলের পানি আনেন, তা দিয়ে গোসল করানো শেষে কাফন পরানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ৪ জন কারারক্ষী কফিনে লাশ ঢুকিয়ে উপরের কাঠ বন্ধ করে দেয়। এরপর লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাঁসির মঞ্চ থেকে জেল সুপার অফিসে গিয়ে ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবেদন, লাশ বহন এবং পরিবহনের নির্দেশ দিয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন।এসআরজে
Advertisement