বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) শেয়ারের দাম ১০ টাকা এবং মূলধন এক হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করে ‘বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন বিল-২০১৭’ সংসদে পাস হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। পরে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটি যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির জারিকৃত অধ্যাদেশটি রহিত করে আইনটি যুগোপযোগী করতে নতুন এই আইনটি আনা হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে ১৯৭২ সালের ‘বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরশেন অর্ডার’ রহিত হবে। আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় বিলটি উত্থাপনের আগে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেয়া হয়। প্রস্তাবিত আইনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ন্যূনতম সাত এবং অনধিক ১৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কর্পোরেশনের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্য থেকে দুজন পরিচালক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে।বিলের ৪-৬ ধারায় বলা হয়েছে, শিপিং কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা, যা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের একশ সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত হবে। কর্পোরেশনের পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫০ কোটি টাকা, যা ৩৫ কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত হবে।বিলে আরও উল্লেখ রয়েছে, কর্পোরেশনের পরিশোধিত মূলধনের শেয়ারের মধ্যে ন্যুনতম ৫১ ভাগ শেয়ার সরকারের মালিকানাধীন থাকবে। অবশিষ্ট শেয়ার পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জনসাধারণের কাছে বিক্রয়ের জন্য নির্ধারণ করা যাবে। কর্পোরেশনের অনুমোদিত এবং পরিশোধিত মূলধনের প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আদেশ নির্দেশনা অনুসারে নির্ধারিত হবে।আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন আন্তর্জাতিক নৌ-পথে বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনাকারী একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে এ কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসহ জ্বালানি, সার, খাদ্যশস্য পরিবহন ছাড়াও জাতীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।১৯৭২ সালের আইনটি যুগোপযোগী করতে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলা ভাষায় বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ২০১৭ বিল আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।এইচএস/আরএস/পিআর
Advertisement