ফিফটির পর রানআউটে কাটা পড়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এতে বড়সড় এক ধাক্কাই খায় বাংলাদেশ। সেই ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই মুমিনুল হকও বিদায় নিলেন। ১৭ বলে ৭ রান করতেই দিলরুয়ান পেরেরার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মুমিনুল।শ্রীলঙ্কার ৪৯৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনারের ব্যাটে শুভসূচনা পায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের জোড়া ফিফটিতে জবাবটা ভালোই দিচ্ছিল সফরকারীরা। কিন্তু ফিফটির পর বেশিক্ষণ আর টিকতে পারলেন না তামিম। রানআউটে কাটা পড়ে ফিরে গেলেন সাজঘরে।বিদায়ের আগে ১১২ বল মোকাবেলা করেছেন তামিম। ৬টি চারের সাহায্যে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। টেস্টে ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি তুলে নেন বাংলাদেশি এই ড্যাশিং ওপেনার। বোকা বনে গিয়েই আউট হন তামিম।ইনিংসের ৩৭তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। বোলার লক্ষ্মণ সান্দাকান। বাঁহাতি স্লো চায়নাম্যান। তার বলটা চলে যাচ্ছিল পায়ের পেছন দিক দিয়ে। ব্যাট দিয়ে খোঁচা দিতে চেয়েছিলেন তামিম। ব্যাটে লেগেছে কী লাগেনি সেটা পরে, তার আগেই সেটিকে গ্লাভসবন্দী করে হাত তুলে আউটের আবেদন করতে যাচ্ছিলেন উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলা। তামিম ভাবলেন বলটা বুঝি উইকেটরক্ষক মিস করেছেন। বল বাইরে চলে গেছে। কিন্তু না। বল ছিল ডিকভেলার হাতেই। তামিম রানের জন্য দৌড়াতে শুরু করলে রানআউটের শিকার হন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৩ রান।এর আগে ৪ উইকেটে ৩২১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে। দিনের শুরুটাও দারুণ করে তারা। এদিন আরও ৭৭ রান যোগ করে মোট ১১০ রানের জুটি গড়েন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেন্ডিস ও ডিকভেলা।দলীয় ৩৯৮ রানে এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে এ আউটে তামিম ইকবালের অবদানই বেশি। লং অনে দারুণ ক্যাচ ধরেন তামিম। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে লাইনের বাইরে চলে যান তিনি। তবে তার আগে শূন্যে বল ছুড়ে দিয়ে আবার ভিতরে এসে লুফে নেন সে ক্যাচ। ফলে ডাবল সেঞ্চুরি করার ৬ রান আগেই বিদায় নিতে হয় মেন্ডিসকে। তবে কাজের কাজটি করে দিয়েছেন এ তরুণ। ২৮৫ বলে খেলেছেন ১৯৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। মেন্ডিস আউট হলেও এক প্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন ডিকভেলা। মিরাজের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ৭৬ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। তার আউটের পর দলের হাল ধরেন দিলরুয়ান পেরেরা। এক প্রান্তে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৪৯৪ রানে থামে লঙ্কানরা।বাংলাদেশের পক্ষে ১১৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন মিরাজ। ৬৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এছাড়া সাকিব, শুভাশিস ও তাসকিনের দখলে যায় ১টি করে উইকেট। এনইউ/পিআর
Advertisement