পুরুষতান্ত্রিক সমাজে শ্রেষ্ঠ সম্পদের নাম মা। সেই ‘মা’ নারী সমাজের পথিকৃৎ। সফলতার মলাটে বাঁধানো এক রঙিন ডায়েরি। মাটির ঘর থেকে মহাকাশে ছুটে চলা বিমান আজ তাদের দখলে। সভ্যতার প্রতিটি পাতায় আজ তাদের হাতের চিহ্ন। তবুও আজ তাদের একাংশ নির্যাতিত, অবহেলিত, এক অদৃশ্য পিছুটানে বন্দি। নারী দিবস উপলক্ষে ভিন্ন ভিন্ন পেশায় সফল ৬ নারী কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। শুনিয়েছেন নারী দিবস নিয়ে তাদের ভবনার কথা।সাবিনা খাতুন অধিনায়ক, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলআমি মনে করি, একজন নারী যদি মন থেকে চায় তবে সে নিজেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। আর আমার কাছে নারী দিবস মানে শুধু একদিন নারীদের সম্মান করা বা পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশেষ একটি দিন নয়। নারীদের যদি প্রত্যেকে মন থেকে সম্মান করে তবেই প্রত্যেকটি দিনই হবে নারী দিবস। তাই আমার কাছে নারী দিবস মানে নারীদের প্রতি নিজের মনকে জাগ্রত করার শপথের দিন।বুশরা জাবিনসংগীতশিল্পীআমার কাছে নারী দিবস বলতে বিশেষ কোনো দিবস নেই। নারীদের জন্য প্রত্যেকটি দিনই সংগ্রামের। আমি মনে করি, নারী দিবস উপলক্ষে আমাদের সমাজের যেসব নারী এখন সংগ্রাম করে উচ্চপর্যায়ে পৌঁছিয়েছে। তাদের উচিত অন্যদের সেই সংগ্রামের গল্প শুনিয়ে উৎসাহ দিয়ে তাদেরকে উচ্চপর্যায়ে নিয়ে আসা। এছাড়া আমি মনে করি, একজন নারীর একজন পুরুষের চেয়ে বেশি সম্মান পাওয়া উচিত। কেননা একজন নারীকে কঠোর সংগ্রাম করেই তাঁর সম্মান অর্জন করতে হয়।জেনিফার আলমপ্রেসিডেন্ট, ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশনআমি মনে করি, আমরা এখনো নারীদের ঠিক সেইভাবে সম্মান দিতে পারিনি। তাই আমাদের ঘটা করে নারী দিবস পালন করতে হয়। তাছাড়া আমি মনে করি, আমাদের দেশে নারী দিবসের আয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। যাতে নারীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে জানতে পারে আর পুরুষরা তাদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয়।অর্চি রহমানলেকচারার, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিআমার কাছে নারী দিবসের মানে সমাজের সবক্ষেত্রে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত এবং অগ্রণী ভূমিকাকে স্মরণ করে নেয়া। এছাড়া প্রাথমিক জীবন এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া এ দিবসটির মুখ্য উদ্দেশ্য বলে আমি মনে করি।ডা. সম্পা রায় লেকচারার, গাজী মেডিকেল কলেজনারী আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অফিস, হাসপাতাল, প্রশাসন সবক্ষেত্রেই নারী আজ এগিয়ে চলছে। যে নারী সন্তান জন্ম দিচ্ছে; সে-ই আজ এভারেস্ট জয় করছে। তবুও নারীরা আজ ইভটিজিংয়ের শিকার, ধর্ষণের শিকার, ঘরে-বাইরে সবক্ষেত্রেই শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। নারীরা অবলা এই ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে বাইরে আসতে হবে নারীকেই। হতে হবে সাহসী, শিক্ষিত, আত্মপ্রত্যয়ী। মূলত নারীকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করাই নারী দিবসের মূল উপজীব্য বলে আমি মনে করি।সাবরিনা পারভিন খান এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন, নিজল ক্রিয়েটিভ আমার কাছে কেবল এক দিনই নারী দিবস নয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তাই আমি মনে করি, নারী দিবস প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে।এসইউ/আরআইপি
Advertisement