বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর এলাকায় দেড় বছর আগে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে স্বামীকে হত্যার ঘটনা ফাঁস করে দিল সরোমা বেগম নামে এক গৃহিণী। স্বামীকে হত্যার পর ঘাতক প্রেমিক মোতালেবকে নিয়ে সংসারও পেতেছিলো দুই সন্তানের এই জননী। তবে নতুন স্বামীর সাথে বিরোধের কারণে প্রকাশ্য সালিশ বৈঠকে নিজ স্বামীকে হত্যার বিষয়টি ফাঁস করে সরোমা বেগম।দেড় বছর আগে ওহাব আলীরকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে নিহতের চাচাতো ভাই জিল্লুর রহমানের দায়ের করা মামলায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।ফকিরহাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় দেড় বছর আগে দুই সন্তানের জনক লকপুর এলাকার বাসিন্দা ওহাব আলী মৃত্যু হলে তার স্ত্রী সরোমা বেগম গ্রামবাসীকে জানায় তার স্বামী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। এ অবস্থার কিছুদিন পর বিধবা সরোমা বেগম প্রতিবেশি মোতালেব শেখের সাথে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। নতুন স্বামী মোতালেবের সাথে সরোমার বেগমের পার হয় দেড় বছর। তবে দেড় বছরের এ নতুন সংসার জীবনে স্বামী মোতালেবের সাথে তার বেশ কয়েকবার ঝগড়া বিবাদ হয়।পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে তিক্ততার কারণে গত বুধবার লকপুর নিজ বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে সালিস বৈঠক। এক পর্যায়ে সরোমা বেগমকে তালাক দেয়ার কথা বলে মোতালেব শেখ। এসময়ে সরোমা বেগম তার আগের স্বামীকে কিভাবে মোতালেব শেখ বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে তা ফাঁস করে দিলে বৈঠকে উপস্থিত লোকজন হতবাগ হয়ে যায়। অনেকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে রের্কড করে রাখে। আলোচিত এঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার লকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবুল হোসেন বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে ওই দিন রাতেই সরোমা বেগম, ঘাতক স্বামী মোতালেব শেখ ও সহযোগি বাবুল ফরাজীকে আটক করে। পরের দিন শুক্রবার নিহত ওহাব শেখের চাচাতো ভাই জিল্লূর রহমান বাদী হয়ে আটকদের আসামি করে ফকিরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।ফরিহাট মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান জাগো নিউজকে তিনজন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।এমএএস/আরআই
Advertisement