শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার ১৫ রানের মাথায় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা (৪) বোল্ডআউট শুভাশিস রায়ের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। ৬০ রানে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন; মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরান করুনারত্নেকে (৩০)। দলীয় ৯২ রানে দিনেশ চান্দিমালকে (৫) হারায় স্বাগতিকরা। এ যাত্রায় উইকেট শিকারি মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর আর কেন যেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ! উইকেটের দেখা নেই। চতুর্থ উইকেটে ১৯৬ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ও গুনারত্নে শাসন করেছেন বাংলাদেশি বোলারদের।
Advertisement
এই জুটিতে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। পড়ন্ত বেলায় নতুন বলে সফল হন তাসকিন। ৮৫ রান করা গুনারত্নে বোল্ড হন। আর তাতে বাংলাদেশ শিবিরে নেমে আসে স্বস্তি। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ শ্রীলঙ্কার।কিন্তু বাংলাদেশের পথের কাটা হয়ে রইলেন কুশল মেন্ডিস। দিন শেষে ১৬৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন এই লঙ্কান। কিন্তু সর্বশেষ দশ ম্যাচে মেন্ডিসের ব্যাট তো মোটে হাসছিলই না! রানের সংখ্যা যথাক্রমে ১, ৪, ২, ৬২, ২০, ৪, ২৯, ১, ৫ ও ১৪। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে অপরাজিত আছেন নিরোশান ডিকওয়ালা (১৪*)।অথচ এই কুশল মেন্ডিসই ফিরে যেতে পারতেন রানের খাতা না খুলতেই। ভাগ্যের সহায় থাকলে যা হয়! শুভাশিস রায়ের বলটি ‘নো’ হলে জীবন পেয়ে যান। সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান। দিন শেষে তাই মুশফিকদের আক্ষেপ- সেই ‘নো’ বল।
তবে এটা তো খেলারই অংশ। নিজেদের অবস্থানকে শক্ত করতে চায় সফরকারী বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে কামব্যাকের প্রত্যাশা তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের, ‘আমাদের শুরুটা খুব ভালো ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের বোলাররা শুরুতে খুব ভালো বোলিং করেছে। বিশেষ করে শুভাশিস দা ও তাসকিন ভাই খুব ভালো বোলিং করেছে। মোস্তাফিজের সূচনাটাও ভালো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের সব কিছু ভালো হয়েছে। ওদের পার্টনারশিপ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আশা করি- আমরা ভালোভাবে কাল (বুধবার) কামব্যাক করতে পারবো।’গলের উইকেটে প্রথম দিনে স্পিনাররা সুবিধা পাননি। মিরাজের ভাষায়, ‘স্পিনাররা ওরকম কোনো সাহায্য পাচ্ছে না। আমিও বল করেছি, সাকিব ভাইও বল করেছেন। ওরকম কোনো সাহায্য পাচ্ছি না। ওদের ব্যাটসম্যানরা; বিশেষ করে কুশাল মেন্ডিস খুব ভালোভাবে হ্যান্ডেল করছে। ও যদি আউট হয়ে যেত খেলাটা অন্যরকম হয়ে যেত।’এনইউ/জেআইএম
Advertisement