খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন ঘেরের চিংড়িতে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। বিপণন করার আগেই অধিকাংশ ঘেরের চিংড়ি মরে যাচ্ছে। অপরদিকে, বিগত বছরের তুলনায় বাজারমূল্য অনেক কমে এসেছে। এতে চাষীরা হতাশ হয়ে লোকসানের আশংকা করছেন। পাইকগাছা উপজেলা মৎস্য বিভাগের সূত্র থেকে জানা যায়, বর্তমানে উপজেলায় ১৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। ছোট বড় মিলিয়ে এখানে ঘেরের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৪৯টি। অপরদিকে, কয়রা উপজেলায় ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় ঘেরের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪টি। এ উপজেলায় হেক্টর প্রতি ৩৪৫ কেজি চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে, চলতি চিংড়ি মৌসুমের শুরুতেই অধিকাংশ ঘেরে ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এ কারণে চিংড়ির বাজার মূল্য অনেকাংশে কমে এসেছে। ফলে চড়ামূল্যে টাকা দিয়ে ঘের করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঘের মালিকরা। পাইকগাছার ঘের ব্যবসায়ী মো. দাউদ শরীফ জাগো নিউজকে জানান, গত বছর বিক্রি হওয়া ১ হাজার ৮শ’ টাকা মূল্যের প্রতি কেজি চিংড়ি এ বছর বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩শ’ টাকা দরে। এছাড়াও মৌসুমের শুরুতেই চাহিদা বেশি থাকায় হ্যাচারি মালিকরা চিংড়ির পোনার দামও বাড়িয়ে দেন। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে বলেও আশংকা করেন তারা। কয়রার ঘের ব্যবসায়ী সাঈদুল শেখ বলেন, তার ৪০ বিঘা ঘেরে মাছ ধরার শুরুতেই চিংড়ি মরে যাচ্ছে। ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা দরের চিংড়ি বর্তমানে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় নেমে এসেছে। ফলে চলতি মৌসুমে লোকসানের পরিমাণ বাড়বে বলে আশংকা করেন তিনি। চিংড়িতে ভাইরাসসহ বিভিন্ন ধরণের রোগ বৃদ্ধির বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএমএ রাসেল জাগো নিউজকে জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, তাপমাত্রার তারতম্য, দুর্বল ঘের ব্যবস্থাপনা এবং চাষাবাদের ক্ষেত্রে উন্নত পদ্ধতি অনুসরণ না করায় চিংড়িতে ভাইরাসসহ বিভিন্ন ধরণের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।এমজেড/এমএস
Advertisement