রাজনীতি

নারীর সমতায়ন এখন প্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন প্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিত।মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। বিশ্বব্যাপী নারী জাগরণ সৃষ্টি এবং নারী সমাজের কল্যাণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে এ দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম।তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি হলে মানবজাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সরকারে থাকতে এ দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদের সম্পৃক্ত করার কারণে নারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠে। তিনি বলেন, নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খূঁজে পেয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। |তিনি আরও বলেন, নারী দিবসে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘উইমেন ইন দ্য চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক প্লানেট ৫০:৫০ বাই ২০৩০’ এর সফলতা কামনা করছি। বাণীতে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। এমএম/ওআর/জেআইএম

Advertisement