রাজধানীর পল্টন এলাকায় ওয়াসার খোলা ম্যানহোলে পড়ে প্রতিবন্ধীর মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৯ মার্চ (রোববার) স্বশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ম্যানহোল খোলা রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলের পাশাপাশি এই আদেশ দেন।জারিকৃত রুলে বলা হয়, ম্যানহলে পড়ে ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় বিবাদীদের কর্তব্য কাজে অবহেলা ও ব্যক্তির মৃত্যর ঘটনায় তাদের কেন দায়ী করা হবে না এবং তাহাদের বিরুদ্ধে কেন (আইনগত ব্যবস্থা) মামলা করা হবে না। এছাড়াও রুলে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ড্রেনেজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া প্রতিবেদন আমলে উক্ত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারির পাশাপাশি এই আদেশ দেন। আদেশের আগে আদালত বলেন, খোলা ম্যানহোলে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু শীর্ষক প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। রাস্তাঘাটে এভাবে খোলা ম্যানহোল রাখা বেশি বাড়াবাড়ি। রাস্তায় রাস্তায় মানুষ মরবে সেটা চলতে দেয়া যায় না।পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাজধানীর পল্টনে কালভার্ট রোডে ঢাকা ওয়াসার খোলা ম্যানহোলে পড়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক দিন ধরে কালভার্ট রোডের পল্টন টাওয়ারের সামনে ম্যানহোলের প্রায় ৪০ বর্গফুট আয়তনের একটি ঢাকনা খোলা ছিল। কিন্তু এখানে কোনো সতর্কবার্তা বা চারপাশে সংকেত ছিল না। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই ব্যক্তি এই সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। রাত ৭টা ২০ মিনিটে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরের কর্মীরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।এফএইচ/এসএফ/আরএস/আরআইপি/এমএস
Advertisement