নগরবাসীর আবাসন সমস্যার অনেটাই সমাধান করবে রাজউক। এ লক্ষ্যে উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টর, পূর্বাচল এবং ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এলাকায় প্রায় এক লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এলাকায় নিন্ম ও মধ্যআয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ১৩ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এ জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এটিই হবে দেশের আবাসনখাতে পিপিপির আওতায় নির্মিত প্রথম কোনো স্থাপনা নির্মাণ।সোমবার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন কেরাণীগঞ্জে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এ সময়ে রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, সদস্য (উন্নয়ন) আব্দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রায়হানুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ঝিলমিল হবে একটি স্মার্ট ও পরিবশেবান্ধব আবাসিক এলাকা। এখানে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। এ আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিস ডাকটিং পদ্ধতিতে মাটির নিচে রাখা হবে। সে ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এখানে এখনই বাড়ি নির্মাণের সব সুযোগ গড়ে তোলা হয়েছে।তিনি বলেন, কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ৩৮১ একর জমির ওপর এ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। এখানকার ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। এখন দুই হাজার ৬৫০ ফুট দীর্ঘ এবং ২১০ ফুট প্রশস্ত লেক নির্মাণের কাজ চলছে। এ আবাসিক এলাকায় স্যুয়োরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, সলিড ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ একটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকার সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।এমএসএস/বিএ
Advertisement