খেলাধুলা

হাথুরুর আহ্বানেই সাড়া দিলেন নতুন ফিজিও চন্দ্রমোহন

কলম্বোয় তখন বিকাল ৫টা বাজার কয়েক মিনিট বাকি। কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নেমেই দেখা, ছাই রঙয়ের রবির লোগো সম্বলিত টি-শাট পরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের লিয়াঁজোর সঙ্গে। পাশে দাঁড়ানো শশ্রুমন্ডিত সুঠামদেহি এক ভদ্রলোক। লিঁয়াজো পরিচয় করিয়ে দিলেন, তিনি বাংলাদেশের নতুন ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহন। তার সঙ্গেই কথা হচ্ছিল বিমান বন্দরে বসে। সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মেসেজথেরাপিস্ট মোহাম্মদ সোহেল। ঢাকা থেকে একই ফ্লাইটে, পাশাপাশি সিটে বসে মোহাম্মদ সোহেলের সঙ্গেই কলম্বো যাওয়া। পথিমধ্যে সোহেলই আমাকে জানালো, কলম্বো বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন ফিজিওর। ততক্ষণে অবশ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় খবর ছাপা হয়ে গিয়েছে, ইংল্যান্ডের ডিন কনওয়ের পরিবর্তিত হিসেবে টাইগারদের নতুন ফিজিও হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন চন্দ্রমোহন।তিনি যে গল টেস্টের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন, এ খবর অবশ্য জানা ছিল না কারও। কলম্বো বিমানবন্দরে নেমে তার সঙ্গে দেখা হওয়ারই বুঝলাম, দ্রুতই ফিজিওকে দলের সঙ্গে একিভুত করে নিচ্ছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। থিহান চন্দ্রমোহন নিজেই জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন, কোচ হাথুরুসিংহের আহ্বানেই হঠাৎ করে তার বাংলাদেশ দলের ফিজিও হিসেবে যোগ দিতে চলে আসা।গলের উদ্দেশ্যে কলম্বোছাড়ার আগে কিছুক্ষণ সময় পাওয়া গেলো চন্দ্রমোহনের সঙ্গে কথা বলার। তখনই নিজের বৃত্তান্ত জাগো নিউজকে জানালেন তিনি। দুই দেশ এবং জাতির রক্ত বহমান তার শরীরে। বাবা শ্রীলংকান। মা হচ্ছেন মালয়েশিয়ান। জন্ম হয়েছে তার লন্ডনে; কিন্তু ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন মেলবোর্নে। ফিজিও হিসেবে কিন্তু বাংলাদেশেই প্রথম নয় থিহান চন্দ্রমোহন। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আহ্বানে সাড়া দেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব হ্যাম্পশায়ারের ফিজিও হিসেবে, টানা চার বছর, ২০১৩ সাল থেকে। তার আগে, ২০০৯ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ক্রিকেট দল ভিক্টোরিয়ার ফিজিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।হঠাৎ বাংলাদেশ দলের ফিজিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেই এ বিষযে জেনেছি। হাথুরুসিংহের সঙ্গে আগে থেকেই ভালো পরিচয় ছিল। যেহেতু মেলবোর্ণে বড় হয়েছি। তিনি শুধু আমাকে বলেছেন, তুমি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করবা কি না। তার প্রস্তাব শুনে আমিও সানন্দে রাজি হয়ে গিয়েছি এবং এক সপ্তাহেরও কম সময়ের নোটিশে চলে এলাম।’বাংলাদেশ দল সম্পর্কে এখনও খুব বেশি কিছু জানেন না নতুন ফিজিও। তিনি বলেন, ‘মুশফিকদের ফিটনেস সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না। তাদেরকে দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। তারপরও আমার মনে হয়, তারা অনেক ফিট। তবুও দেখবো, তারা কেমন। সিরিজ শুরুর আগে তো, কিছু করার নেই। দেখে ধারণা নিয়ে রাখবো। পরে এগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবো।’এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement