বিশেষ প্রতিবেদন

আইপিইউর উদ্বোধন সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৬তম অ্যাসেম্বলির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অবশেষে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) হওয়ার কথা থাকলেও সংসদের সৌন্দর্য ও গুরুত্ব অনুধাবন করে এর দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। ১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অ্যাসেম্বলি উদ্বোধন করবেন। আইপিইউভুক্ত ১৭১ দেশের স্পিকার, ডেপু্টি স্পিকার, সংসদ সদস্য ও অন্যান্য প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৩শ প্রতিনিধি অংশ নেবেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী আইপিইউর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার তিন বছর পর প্রথমবারের মতো আইপিইউ সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ। সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা জাগো নিউজকে বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হলেও মূল অনুষ্ঠান হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। জানা যায়, এই অ্যাসেম্বলি উপলক্ষে ২২ মার্চ থেকে অতিথিরা আসা শুরু করবেন। আর বিআইসিসি মূল ভবনের বাইরে উত্তর পূর্ব কোনায় সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করা হবে। দেশি-বিদেশি ২০০ সাংবাদিক বসার ব্যবস্থা ও প্রেস কনফারেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। দুটি এলইডি স্ত্রিনে মেইন ইভেন্টগুলো প্রদর্শিত হবে। ইন্টারনেট সুবিধাসহ ২০টি কম্পিউটার থাকবে। আর ৫০টি ল্যাপটপ ব্যবহার উপযোগী ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, ফটোকপিয়ার, স্ক্যানার, ফ্যাক্স, আইএসডি ও এনডাব্লিউ সুবিধাসহ টেলিফোন থাকবে। তবে এ পর্যন্ত বিদেশি কোনো সাংবাদিক আসার আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তাদের শেষ মুহূর্তে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের একটি কাজ। সম্মেলনটি সফল করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করি সফলতার সঙ্গে সম্মেলনটি শেষ করে দেশকে আরও মর্যাদার আসনে বসাতে পারব। সূত্র জানায়, সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত সবচেয়ে বড় সংস্থা আইপিইউ। সংস্থাটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোর গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে এ সংস্থার সদস্য পদ লাভ করে।এইচএস/জেএইচ/জেআইএম

Advertisement