বিএনপি ও খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা বলে নির্বাচন ভণ্ডুল করার চক্রান্ত করছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইনু বলেন, গত নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকারের ফর্মূলা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলো। আবার যখন তারা নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা বলে তখন মনে হয় নির্বাচন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে। নির্বাচনের সময় একটি অনির্বাচিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়ে তারা নির্বাচনকে ভণ্ডুলের চক্রান্ত করতে চায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।বাংলাদেশ কোনো চক্রান্তের কাছে আর পরাজিত হবে না। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারির আগে অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, এদেশে আর রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা হবে না। মুক্তিযোদ্ধারাই এদেশে খেলবে। রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা মিলমিশের তত্ত্ব চিরতরে কবর দিতে হবে। অতীতে যেভাবে দ্বিজাতি তত্ত্বের কবর দিয়েছিলাম। জঙ্গি দমনে, দারিদ্রমুক্ত ও লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে শুন্য জিরো টলারেন্স অনুসরণ করতে হবে। হাসানুল হক ইনুর কবিতা : এদিকে আলোচনায় অংশ নিয়ে শুরুতে কবিতা দিয়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন হাসানুল হক ইনু। কবিতায় তিনি বলেন, কৃষকের খেতে ধানের ঢেউ, পাটের হাসি, জলাতে মাছের নাচানাচি। বিদ্যুতে কারখানা সচল, গ্রামের ঘরবাড়ি আলোতে ঝলমল। ছাত্র-ছাত্রীর হাতে হাতে বই,কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তার-রুগির ভিড়ে হৈ চৈ। হাতে হাতে মোবাইল ইন্টারনেট, স্কুলের ল্যাবে কম্পিউটার সেট। ফোরলেন ফ্লাইওভার পদ্মাসেতু পায়রা সোনাদিয়া, গোটা দুনিয়া দেখছে বিস্ময়ে চাহিয়া। সমুদ্রে সাবমেরিন, আকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ইউনিয়নে তথ্য কেন্দ্র, সব খবরের জন্য ওয়েবসাইট। আরও বহু আছে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণে আছে সেটা।এইচএস/জেএইচ/আরআইপি
Advertisement