টানা দরপতনের বৃত্তে দেশের উভয় শেয়ারবাজার। রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন ঘটেছে। সেই সঙ্গে কমছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচকটি ১০ পয়েন্ট, বুধবার ১৫ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৭ পয়েন্ট এবং সোমবার ১৪ পয়েন্ট কমেছিল। ডিএসই’র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারে গত কয়েকদিন ধরে টানা দরপতন হচ্ছে। এই মুহূর্তে বাজারে দরতন হওয়ার কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই। বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেয়ার চেষ্টা করছে, এ জন্যই দরপতন দেখা দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বাজারে অংশগ্রহণকারী বা প্লেয়ারের সংখ্যা কমে গেছে। যে কারণে লেনদেন কমে গেছে এবং দরপতনও দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা তো আছেই। বাজার পর্যালোচনা দেখা যায়, রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৮৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাজারটিতে লেনদেন কমেছে ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির দাম। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বারাকা পাওয়ারের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফিন্যান্সের ৪৭ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরএসআরএম স্টিল। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক, শাশা ডেনিম, প্যাসেফিক ডেনিমস, বেক্সিমকো, ইফাদ অটোস, জিপিএইচ ইস্পাত এবং অ্যাকটিভ ফাইন। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৫৫ পয়েন্টে। বাজারটিতে ৪৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৪১টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ২৬টির দাম। এমএএস/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement