পিসিএলের প্রথম আসর পুরোটাই হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে এবারও হয়েছে গ্রুপপর্ব ও কোয়ালিফায়ারের ম্যাচগুলো। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচটি লাহোরে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি তারা। তার ওপর গত মাসেই লাহোরে হয়েছে আত্মঘাতী বোমা হামলা। এই ভয়েই হয়তো ক্রিস গেইল, কেভিন পিটারসেন, টাইমাল মিলস, ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা আগে জানিয়ে দেন, ফাইনালে খেলতে লাহোরে যেতে রাজি নন তারা। শেষ পর্যন্ত তারা সেখানে যাননি।তবে ফাইনালে ওঠা দুই দল কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স ও পেশোয়ার জালমির বিদেশি ক্রিকেটারদের কয়েকজন খেলোয়াড় লাহোরে পৌঁছেছেন। বিশেষ করে পেশোয়ারের হয়ে গ্রুপপর্ব ও কোয়ালিফায়ারে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস এবং ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটার ডেভিড মালান ও ক্রিস জর্ডান ইতোমধ্যে লাহোরে পা রেখেছেন।অপরদিকে নিরাপত্তা অজুহাতে লাহোরে যেতে রাজি হননি কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের কেভিন পিটারসেন, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, টাইমাল মিলস, লুক রাইট ও রিলে রুশো। তাদের পরিবর্তে কোয়েটা দলে নিয়েছে পাঁচজন বিদেশি খেলোয়াড়। তারা হলেন- বাংলাদেশের এনামুল হক বিজয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে ভন উইক, জিম্বাবুয়ের এলটন চিগুম্বুরা ও শন আরভিন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিয়াদ এমরিট।শঙ্কা নিয়েই আজ মাঠে গড়াচ্ছে পিএসএল ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় পেশোয়ার জালমির মুখোমুখি কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।২০০৯ সালে এই শহরেই তো শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের দেখা পাচ্ছে না পাকিস্তানের দর্শকেরা। ২০০৯ সালের ওই ঘটনার পর শুধু জিম্বাবুয়েই সীমিত ওভারের সিরিজ খেলে গেছে। সে বন্ধাত্ব অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে এবং পাকিস্তানকে আবারও নিরাপদ প্রমাণ করতেই পিসিএলের ফাইনাল লাহোরে করার সিদ্ধান্ত পিসিবির!নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা পাকিস্তানে বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলবেন ভয় নিয়েই; তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বিজয়-স্যামিদের যে নিরাপত্তা আশ্বাস দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড। তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই হয়। নইলে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে বড় ধরনের অনিশ্চয়তাই তৈরি হবে!এনইউ/এমএস
Advertisement