জাতীয়

রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা পেলেন তিন নারী

নিজ নিজ ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের জন্য তিন কৃতি নারী পেয়েছেন রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা-২০১৬। সম্মাননা পেয়েছেন কুড়িগ্রামের সাংবাদিক লাইলী বেগম, চট্টগ্রামের রমা চৌধুরী আর নারী উদ্যোক্তা নুরুন্নাহার বেগম।শুক্রবার বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই তিন কীর্তিমতীকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়। অবহেলিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযুদ্ধ নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখার জন্য কুড়িগ্রামের একমাত্র নারী সাংবাদিক লাইলী বেগম। পুরস্কার পেয়ে তিনি বলেন, ১৪ বছর আগে যখন সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম তখন কারও কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি। একবার এক বিধবাকে উদ্ধার করতে গেলে প্রভাবশালীরা আমাকে আটকে রেখে মাথায় এসিড ঢেলে দিতে চেয়েছিল। কর্মক্ষেত্রে মামলা খেয়েছি, লাঞ্ছনার শিকারও হতে হয়েছে। বাবা-মা ও পরিবারের কোন সহযোগিতা ছিল না। তারপরও এগিয়ে চলেছি। আমার সঙ্গে ছিল শুধু সাহস। আমি চাই সব মেয়েরাই এমন সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাক। বিজয়ীদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ টাকার চেক তুলে দেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ঢাকার সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির এবং বেসরকারি সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান করভি রাখশান্দ ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। ইমদাদুল হক বলেন, আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে আপনি কাদের দলে? আমি বলবো, নারীদের দলে। কারণ আমি দেখেছি প্রশাসনে যেখানে নারীরা আছে সেখানে ঘুষ নেই বললেই চলে। থাকলেও কম। যেসব দেশে নারীরা গাড়ি ড্রাইভ করে সেসব দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা কম। তারা এখন অনেকাংশে পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। করভি রাখশান্দ বলেন, মেয়েদের পেছনে না থেকে, মেয়েদের সামনে না থেকে বরং মেয়েদের সঙ্গে থেকে তাদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিন কীর্তিমতীকে নির্বাচনে নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাদের জন্য আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ধর্মের কথা বলে বিতর্ক না সৃষ্টি করে সম্পত্তিবণ্টনে নারী-পুরুষ উভয়কে সমঅধিকার দেয়ার দাবি জানাই। এআর/জেএইচ/পিআর

Advertisement