রোগীর স্বজনকে মারধর করার ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী চার ইন্টার্ন চিকিৎসককে শাস্তি দেয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে অঘোষিত কর্মবিরতি চলছে।হাসপাতালের সরকারি চিকিৎসকরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করলেও শাস্তিপ্রাপ্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সহকর্মীরা কাজ করছেন না।এর ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিততি চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক রাখতে শনিবার সকাল ৯টায় জরুরি সভা ডেকেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সম্প্রতি শজিমেক হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ‘আপা’ ডাকায় সিরাজগঞ্জের কোনাগাতির আলাউদ্দিন সরকার নামের এক রোগীর ছেলে আবদুর রউফকে বেধড়ক মারধর করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।এ ঘটনায় শজিমেক শাখার সভাপতি ডা. এমএ আল মামুন, সহ-সভাপতি ডা. আশিকুজ্জামান আসিফ, সাবেক সহ-সভাপতি ডা. কুতুব উদ্দিন ও ডা. নূরজাহান বিনতে ইসলাম নাজের ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। শাস্তি শেষে তাদের চারটি ভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে হবে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত শাস্তির বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকেলে জানার পরে কাজ বন্ধ করে দেন ১৩০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে অধিকাংশ ওয়ার্ডে ইন্টার্নদের দেখা যায়নি। নার্সরা জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আসেননি।শুক্রবার সকাল থেকে শজিমেকে সরেজমিনে দেখা যায়, সব ইন্টার্ন চিকিৎসক অঘোষিতভাবে কর্মবিরতি শুরু করেছেন।এদিকে রোগীর স্বজনকে মারধরের জন্য গঠিত স্থানীয় তদন্ত কমিটির প্রধান এবং শজিমেক হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ইন্টার্নদের শাস্তি দেয়ার কোনো কাগজপত্র পাননি।তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টার্নদের কেউ কেউ কাজে আসেননি। শুক্রবার সকাল থেকেই অঘোষিত কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এ কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে শনিবার সকাল ৯টায় সকল বিভাগের চিকিৎসকের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।আরএআার/পিআর
Advertisement