কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা এবং জেএমবির (মূল ধারার) একাংশের আমির মাওলানা আবুল কাশেম তার মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনটিকে আরো হিংস্র করে তোলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, আবুল কাশেমকে নব্য জেএমবির অনেকে বড় হুজুর নামে ডাকতো। ২০১৪ সালে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা তার বিষয়ে তথ্য দেয়। ২০১৫ সালে নব্য জেএমবির প্রধান নিহত তামিম চৌধুরীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়। মনিরুল ইসলাম জানান, কথিত বড় হুজুর নব্য জেএমবির সদস্যদের কথিত জিহাদের ব্যাখ্যা, ইসলাম, কোরআন ও হাদিসের বিকৃত ব্যাখ্যা দিতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম। সেন দিনাজপুরের রানীর বন্দর এলাকার একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বপালন করতেন। নব্য জেএমবির প্রধান তামিম চৌধুরী, মারজান, হাতকাটা মাহফুজ, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরসহ জেএমবির অনেক বড় নেতা এই বড় হুজুরের অনুরক্ত ছিলেন। ইতোপূর্বে গ্রেফতার হওয়া অনেকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছিল।শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়। সেখানে কিছুক্ষণের জন্য আনা হয় আবুল কাশেমকে।সংবাদ সম্মেলনের আগে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও নিচ্ছিলেন আবুল কাশেমের। তখন তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না। আমাকে ১০ মাস আগে আটক করে এখানে রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে মনিরুল বলেন, ‘আসামি সঠিক কথা বলেনি। সে এমন বলেছে কি না আমি জানি না। আর আসামিরা অনেক কথাই বলে, সব কথা গ্রহণ করা যায় না। তাকে গতকাল রাত ১১টায় রাজধানীর সেনপাড়া পর্বত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিকাশে পাঠানো এক ভক্তের টাকা তুলতে তিনি বেরিয়েছিলেন।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আবুল কাশেম অনেক আগে থেকেই পুরাতন জেএমবির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে নব্য জেএমবির মতাদর্শ নিয়ে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ প্রদান করে দলটিকে হিংস্র করে তোলেন তিনি। আদালতে সোপর্দ করে আবুল কাশেমকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ।গেল বছর গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় যে হামলা হয়েছিল তাতে এই জেএমবি নেতার অনুমোদন ছিল কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, এখনো যতদূর জানা যাচ্ছে তার অনুমোদন ছিল। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এআর/এনএফ/এমএস
Advertisement