দরপতনের বৃত্তে আটকা পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। মূল্য সূচকের পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই কমছে লেনদেনের পরিমাণও। গত সপ্তাহের (২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ) পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই দরপতন হয়েছে। এ সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২২১ কোটি ৬২ লাখ টাকাব। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৩টির। অপরদিকে কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৫ হাজার ৩৫৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ১৭৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে বাজারটিতে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। অবশ্য তার আগের সপ্তাহে ডিএসইতে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছিল। গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ২৯৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২২১ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৩ দশমিক ৩৪ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৪১ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ১৭৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক, বারাকা পাওয়ার, কেয়া কসমেটিকস, তিতাস গ্যাস, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস, ইফাদ অটোস এবং বিডি থাই। অপরদিকে দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে প্রাইম লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্ট ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্স ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মতিন স্পিনিং ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং প্যাসেফিক ডেনিমসের ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯০৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৫৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এমএএস/এমএমজেড/এমএস
Advertisement