স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ৩ বছরে (২০১১ থেকে ২০১৪ সাল) দেশে সিজারিয়ান অপারেশনের হার শতকরা ৮ ভাগ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এম, আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।নাসিম বলেন, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১১ অনুসারে সিজারিয়ান অপারেশনের হার ছিল শতকরা ১৫ ভাগ। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১৪ অনুসারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার শতকরা ২৩ ভাগ।সরকারির চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে তুলনামূলক সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার অনেক বেশি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালে প্রসবসেবা বাড়ানো এবং বেসরকারি হাসাপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের হার কমানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। সরকারি হাসপাতালে প্রসবসেবা কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রায় ৯৫৯৮ নার্স নিয়োগ দিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়ন করা হয়েছে। এ সকল নার্স প্রসূতি মায়েদের প্রসবপূর্ব সেবা, স্বাভাবিক প্রসবসেবা ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এর ফলে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে।তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালে ৫৯৭ মিডওয়াইফারি পদায়ন করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রসূতি মায়েদের প্রসবপূর্ব সেবা, স্বাভাবিক প্রসব সেবা ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখছে।সকল প্রসূতি মায়ের প্রসবকালীন সময় মনিটরিং চার্ট পূরণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যা সঠিকভাবে পূরণ ও অনুসরণ করলে কেবল মাত্র জটিল প্রসূতি মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়ে থাকে।তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালগুলোতে জটিল বা ঝুকিপূর্ণ গর্ভের অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব কারানোর জন্য দক্ষ চিকিৎসক পাদায়ন চলমান আছে। এ সকল চিকিৎসক কেবলমাত্র যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সিজারিয়ান অপারেশন করে থাকেন।তিনি আরও বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রসূতি সেবা বাণিজ্যের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।এইচএস/এএইচ/পিআর
Advertisement