মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান তার দু`টি শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। বুধবার সন্ধ্যায় কারাগারে রায় পড়িয়ে শোনার পর তিনি তার এই শেষ ইচ্ছার কথা জানান। কামারুজ্জামানের শেষ ইচ্ছার একটি শুক্রবার যেন তার ফাঁসি দেয়া হয় এবং অপরটি তার ফাঁসির পর মরদেহ গোসল না করিয়েই পরিবারের কাছে যেন হস্তান্তর করা হয়।কারাসূত্র জানায়, বাংলাদেশে প্রচলিত বিধান অনুযায়ী শুক্রবার কোনো ফাঁসি কার্যকর করা হয় না। জুম্মার দিনের কারণে এখন পর্যন্ত এই দিনে কোনো ফাঁসি কার্যকর হয়নি।অন্যদিকে কারাগারের একজন কর্মকর্তা জানান, ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মরদেহের গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরানো হয়। এরপর কফিনে ভরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই নিয়মটিও অতীতে সকল ফাঁসির ক্ষেত্রে রক্ষা করা হয়েছে।মানবতাবিরোধী অপরাধে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে। ফাঁসি কার্যকর করার পর মরদেহ গোসল করিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ।এআরএস/বিএ/পিআর
Advertisement