মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন আজ। তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে কারা কর্তৃপক্ষকে এ সিদ্ধান্ত জানাবেন। বুধবার কামারুজ্জামানকে রিভিউ আবেদনের রায় পড়ে শোনানোর পর তিনি এ কথা বলেন। এর আগে চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর রায়ের কপি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। আজ বেলা ১১টায় আইনজীবীরা কারাগারে গিয়ে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন না জানালে কারা কর্তৃপক্ষ তার ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেবে। আর প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করতে চাইলে তাকে সময় দেয়া হবে। আইনমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, এ সময় হবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এদিকে আদালতের রায় কার্যকরের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।কারাগার সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কামারুজ্জামানকে রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ের কপি পড়ে শুনানো হয়। রায় শোনানোর পর তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা কারা কর্তৃপক্ষ তা জানতে চান। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষের কথায় তিনি ভ্রুক্ষেপ করেননি। রায় পড়ে শোনানোর সময় একমনে কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন। ৪-৫ বার প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এরপর তাকে আবেদনের ফরম দেয়া হয়। তাকে বলা হয়, ‘এটা নিয়ম, আপনাকে স্পষ্ট জানাতে হবে। তখন একপর্যায়ে কামারুজ্জামান বলেন, আমি এখন কিছু বলব না, আইনজীবীর সঙ্গে কথা ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত নেব।এরপর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ফরমান আলী কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে তার কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে ফরমান আলী বলেন, ‘কামারুজ্জামান একদিন সময় চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আইনজীবীরা তার সঙ্গে দেখা করবেন। কারা কর্তৃপক্ষ তার আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনিরকে সকাল ১১টায় কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন। তার আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’এসএস/বিএ/পিআর
Advertisement